শিমুল মাহমুদ: [২] দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের তিন দিনের ধারাবাহিক বৈঠকে আান্দোলনের পক্ষে মত দিয়েছেন বেশিরভাগ নেতা। একই সঙ্গে সংঠনকে শক্ষিশালী করারও দাবি জানান তারা। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন ও নিদলীয় সরকারের অধীনে নিবাচর্নের দাবিতে আন্দোলনের ঘোষনা দেবে বিএনপি।
[৩] বিএনপির নিবার্হীর কমিটির সর্বশেষ সভা হয় ২০১৮ সালের ৩ মার্চ। সে সভায় নেতৃত্ব দেন দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। প্রায় সাড়ে তিন বছরের বেশি সময়ের পর গত তিন ব্যাপি বৈঠক করে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। ধারবাহিক এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
[৪] বৈঠকের প্রথম দিনে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক নানা ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্যরা। তারা বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত না করা, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণসহ কয়েকটি ইস্যুতে বিএনপির কৌশল ভুল ছিলো। আর এই ভুলের পেছনে শীর্ষনেতাদের ভূমিকাই বড় কারণ বলে জানান তারা।
[৫] দ্বিতীয় দিনের বৈঠকেও যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ সম্পাদকরা দলের শীর্ষনেতাদের ভূমিকাকে দায়ি করেন। তারা বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে দলকে যত দ্রুত সম্ভব ঢেলে সাজাতে হবে। আমরা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন করে আবারও ক্ষমতা ফিরে আসতে চাই। সুতরাং আমাদের কোন নেতৃত্ব ভাড়া করার প্রয়োজন নেই।
[৬] তৃতীয় দিনের বৈঠকে অংশ নেন দলের ১১ অঙ্গও সহযোগি সংগঠনের নেতারা। অধিকাংশ নেতা কোনও অবস্থাতেই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। দলের কৌশল নির্ধারণের আগে আগামী দিনে আন্দোলনের নেতৃত্ব গড়ে তোলার পরামর্শ দেন। কার্যকর নেতৃত্ব গড়ে তুলতে প্রয়োজনে রাজপথে সক্রিয় নেতাদের সমন্বয়ে তালিকা করার পক্ষে মত দেন তারা।
আপনার মতামত লিখুন :