সুজন কৈরী : [২] রাজধানীর পল্লবী ও রূপনগর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেট্রোরেলের মালামাল চুরি চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন- চক্রের প্রধান দেলোয়ার হোসেন, দুলাল হোসেন, হাসমত বেপারী, রবিন ও আনোয়ার হোসেন।
[৩] বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত পল্লবী থানার এসআই মো. সজীব খানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটকদের কাছ থেকে মেট্রোরেলের কাজে ব্যবহৃত এক টন ৩৫৪ কেজি চোরাই মালামাল ও তিনটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।
[৪] পুলিশ জানায়, আটকদের মধ্যে দেলোয়ার মূলত চুরি করা মেট্রোরেলের মালামাল ক্রেতা। তার নেতৃত্বে আটক রবিনসহ ২০ থেকে ২৫জন চোর চক্রের সদস্য রয়েছে। তারা মালামালগুলো চুরি করে দেলোয়ারের কাছে বিক্রি করে। এরপর দেলোয়ার মালামালগুলো তার একটি গ্যারেজে রাখতেন। সেখান থেকে কেজি হিসেবে মালামালগুলো আটক হাসমত, আনোয়ার ও দুলালসহ বিভিন্ন ভাঙারি ব্যবসায়ীদের কাছে পাঠাতেন। এরপর মালামালগুলো বিক্রি হতো একটি স্টিল মিলে। ওই মিলের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এরপর অভিযান চালানো হবে।
[৫] শুক্রবার রাজধানীর পল্লবী থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির মিরপুর বিভাগের এডিসি মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে পল্লবীর সিরামিক রোড এলাকা থেকে দুলালকে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে চক্রের প্রধান দেলোয়ারসহ বাকিদের আটক করা হয়। এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ সংশ্লিষ্ট থাকার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
[৬] আরিফুল ইসলাম বলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই মেট্রোরেলের মালামাল চুরি শুরু হয়েছে। পল্লবীর মেট্রোরেল ৮৪ নম্বর পিলার থেকে মিরপুর ১০ নম্বর এলাকার ২৪৭ নম্বর পিলারের এরিয়ায় চুরিগুলো হচ্ছে। কী পরিমাণ মালামাল চুরি হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের এজাহার থেকে জানতে পেরেছি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই এই প্রকল্পের মালামাল চুরি হচ্ছে। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা কিছুদিন আগে মেট্রোরেলের দুই টন মালামাল বিভিন্ন ভাঙারির দোকানে বিক্রি করেছে। মেট্রোরেল এলাকা থেকে মালামাল চুরি করে ভাঙারি হিসেবে তৈরি করে। পরে তারা বিভিন্ন ভাঙারির দোকানে এই মালামাল বিক্রি করে। অভিযানকালে দুটি ভাঙারির দোকান থেকে চুরি যাওয়া মালামাল জব্দ করা হয়েছে।
[৭] আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডিএমপি কমিশনারের পক্ষ থেকে দুই সপ্তাহ আগেই মেট্রোরেলের মালামাল পাহারা দেওয়ার জন্য পুলিশ সদস্য দেওয়া হয়েছে। মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোতে নিরাপত্তার জন্য ২৪ ঘণ্টা পৃথক পুলিশ সদস্যের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।