মাজহারুল ইসলাম : [২] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কলাভবনের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত প্রায় ৭০ বছরের পুরোনো কৃষ্ণচূড়া গাছ কাটার প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার কেটে ফেলা গাছটির গুঁড়ি সাদা কাপড়ে মুড়িয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। এর আগে ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তারা ওই গাছের কাছেই আরেকটি কৃষ্ণচূড়া গাছ লাগান। সমকাল
[৩] মিছিলটি কলাভবন ও মল চত্বর হয়ে উপাচার্য ভবনের সামনে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সাদা কাপড়ে মোড়ানো গাছের গুঁড়িটি উপাচার্য ভবনের প্রধান ফটকে রেখে আসেন তারা।
[৪] সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সাধারণ সম্পাদক রাগীব নাঈম বলেন, যখন প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ওড়ানো হয়েছিল, তখন ঠিক ২০০ কদম দূর থেকে এ গাছটি তা প্রত্যক্ষ করেছিল। কিন্তু আজ ঝুঁকির কথা বলে গাছটি কেটে ফেলা হলো। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যখন করোনায় আক্রান্ত হয়ে অক্সিজেনের অভাব বোধ করছেন, সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগমুহূর্তে এভাবে গাছ কাটা হচ্ছে। এ গাছগুলো কাটা মানে ইতিহাসকে কেটে ফেলা। আমরা এ ইতিহাসকে বহন করতে চাই।
[৫] বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের কাজী রাকিব হোসেন বলেন, এ গাছটি দীর্ঘদিন ধরে ছিল। সেখানে তার নিজস্ব একটা বাস্তুতন্ত্রের সৃষ্টি হয়েছিল। সেই বাস্তুতন্ত্র ধ্বংস করা হলো। এর বদলে আরও ১০০ গাছ লাগানো হলেও এ ক্ষতি পূরণ করা সম্ভব নয়। তবুও আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, এ গাছের পরিবর্তে আরও ১০০টি গাছ লাগাতে হবে।
[৬] সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজানা মিম বলেন, আমরা নির্বিচারে গাছ হত্যার প্রতিবাদ জানাই। আমরা চাই এভাবে যেন আর কোনো গাছ হত্যাকাণ্ডের শিকার না হয়।
[৭] শিক্ষার্থীরা এ গাছ বিক্রি না করার দাবি জানিয়ে বলেন, আমরা চাই এ গাছ যেন কোনো টেন্ডারবাজের হাতে না পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা কাঠ দিয়ে নানা ধরনের ভাস্কর্য বানান। তাই এ গাছ যেন তাদের দেওয়া হয়। এ গাছকে যেন মরণোত্তর সম্মান দেওয়া হয়।