মো. আখতারুজ্জামান : [২] দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন ডিজিটাল বাংলাদেশের বিভিন্ন অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন জানান, মহাকাশে বাংলাদেশের কৃত্রিম উপগ্রহ, দেশজুড়ে ৪ হাজার ৫৫৪ ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, ই-প্রকিউরমেন্ট, স্মার্ট হেলথ কার্ডস, মোবাইল ও ইন্টারনেটের সুবিধাভোগীর সংখ্যা বাড়া, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা, ই-কমার্স এবং এফ-কমার্সের ব্যাপক প্রসার এবং শিল্প কারখানায় রোবটিকসসহ সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে।
[৩] গ্লোবাল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৫৭ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় ৪র্থ জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, সরকারের যুগোপযোগী নীতিমালা ও সাধারণ মানুষের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগ কাজে লাগাতে বাংলাদেশ পুরোপুরি প্রস্তুত। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগ কাজে লাগাতে প্রতিবেশী দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।
[৪] ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্টি-ফিকি আয়োজিত লিডস-২০২১ অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সভাপতি এই তথ্য তুলে ধরেন। দু’দিনব্যাপী এ আয়োজনের বুধবার ২য় দিনে ফিউচার অব ইন্ডিয়া-সাউথ এশিয়া ফোর্থ আইআর পার্টনারশিপস শীর্ষক অনলাইন সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
[৫] তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধা আদায় করতে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ভৌগলিক অবস্থানের কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ আঞ্চলিক সেতুবন্ধনের কাজ করতে পারে।
[৬] অনলাইনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী থারাক বালাসুরিয়া, ফিকি সাউথ এশিয়া রিজিওনাল কাউন্সিলের চেয়ার মানোজ চুগ, ফিকির ভাইস প্রেসিডেন্ট শুভ্রক্রান্ত পান্ডা, ও ডিএইচএল গ্লোবাল ফরওয়ার্ডিং, সাউথ এশিয়া, ভারতের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিকি ফ্রাঙ্ক, ভুটানের এনজিএন টেকনোলজিসের সিইও নিরপা রাজ রায়, মাইক্রোসফট ইন্ডিয়ার গ্লোবাল সিএসএস লিডার রেখা অনিল, আইবিএম ইন্ডিয়ার স্ট্রারলিং সাপ্লাই চেইনের কান্ট্রি লিডার সন্দ্বীপ দত্ত ও উবার ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাভইজিৎ সিং।
[৭] অন্যদিকে মঙ্গলবার ফেডারেশন ভবনে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েন তিয়েন। সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগের তথ্য জানিয়ে, ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীদেরকেও এদেশে কারখানা স্থাপনের আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর জন্য আলাদা অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের প্রস্তাব দেন।
[৮] রাষ্ট্রদূত ভিয়েন চিয়েন বলেন, বাংলাদেশের ওষুধ বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। তার দেশও বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের জন্য সম্ভাবনাময় বাজার হতে পারে। এছাড়াও বাংলাদেশী কাঁকড়া ও চিংড়ি রপ্তানিকারকদের ভিয়েতনামের বাজার ধরার পরামর্শ দেন।
[৮] তিনি বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে দুইদেশের ব্যবসায়ীদের পারষ্পারিক সম্পর্ককে আরো উন্নত করা প্রয়োজন। জসিম উদ্দিন বলেন, ভিয়েতনাম-বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ধারাবাহিক আলোচনা, বৈঠক ও যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত এফবিসিসিআই। সম্পাদনা : ভিকটর রোজারিও
আপনার মতামত লিখুন :