হ্যাপি আক্তার: [২] সোমবার সকাল ৯টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) করোনা ইউনিটে আরো ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় তিনজন ও উপসর্গ নিয়ে তিনজন মারা যান। রাইজিংবিডি, জাগোনিউজ২৪, একাত্তর টিভি
[৩] রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে হাসপাতালে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও পাবনা জেলার একজন করে মারা গেছেন। এছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন রাজশাহীর দুজন ও কুষ্টিয়ার একজন।
[৪] এদিকে, ২৪০ শয্যার করোনা ইউনিটে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ১৩৩ জন। একদিন আগেও এ সংখ্যা ছিল ১২৯। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন রাজশাহীর ৬০ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৬ জন, নাটোরের ১৪ জন, নওগাঁর ১৬ জন, পাবনার ১২ জন, কুষ্টিয়ার সাতজন, চুয়াডাঙ্গার চারজন, জয়পুরহাটের একজন, সিরাজগঞ্জের একজন, রংপুরের একজন ও মেহেরপুরের একজন। হাসপাতালে করোনা নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৪৩ জন। করোনা উপসর্গ নিয়ে ৬৩ জন ভর্তি রয়েছেন।
[৫] একই দিনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে আরো ১৮৭ জনের। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১০ জনের। জেলায় করোনা শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
[৬] অপরদিকে, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৩ ও ৪ জন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। গত এক সপ্তাহের তুলনায় মৃত্যু বেড়েছে।
[৭] মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে মমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ফোকালপারসন ডা. মহিউদ্দিন খান মুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
[৮] করোনায় মৃতরা হলেন- ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার শামসুল হক (৯০), মুক্তাগাছার জমিলা আক্তার (৭০), তারাকান্দার আব্দুল কুদ্দুস (৬০)।
[৯] উপসর্গে মৃতরা হলেন- নেত্রকোনা সদরের আব্দুস সালাম (৪৫), শেরপুর শ্রীবর্দীর ওসমান গনি (৫৬), টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার মকবুল হোসেন (৬০) ও সাহেরা খাতুন (৮০)।
[১০] ডা. মহিউদ্দিন খান বলেন, আইসিইউতে ১০ জনসহ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১০০ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। নতুন ভর্তি হয়েছেন ১১ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আটজন।
[১১] জেলা সিভিল সার্জন নজরুল ইসলাম বলেন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ও এন্টিজেন টেস্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮২টি নমুনা পরীক্ষায় ২৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার ৫৯৭ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২০ হাজার ৩০৮ জন।