নাজনীন আহমেদ : ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে যাবে। আমাদের অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ইত্যাদির ক্ষেত্রে এর প্রভাব কী হবে তা নিয়ে নানা ধরনের হিসাব-নিকাশ চলছে। অনেকেই মনে করেন যে, এ ব্যাপারে সবকিছু সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারক এবং সরকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব। কিন্তু এর বাইরেও নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব কিন্তু কম নয়। স্বল্পোন্নত দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের আচার-আচরণ অভ্যাসের কিছু পরিবর্তন জরুরি বৈকি। আমাদের কথাবার্তায়, মননে আরও বেশি ইতিবাচক হতে হবে; অন্যকে কীভাবে সহযোগিতা করা যায় সেই মানসিকতা লালন করতে হবে; পরিবেশের প্রতি হতে হবে যত্নবান; শিল্পপতিরা তাদের কারখানার শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে আরও যত্নবান হতে হবে। যখন তখন রাস্তায় পার্কে যেভাবে ময়লা ছুঁড়ে ফেলি তা বন্ধ করতে হবে।
দেশ যখন ‘স্বল্পোন্নত’ ট্যাগ ছিঁড়ে ফেলে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে, তেমন একটি দেশের উপযোগী নাগরিক হিসেবে আমরা আমাদের সামাজিক বদঅভ্যাসগুলো ঝেড়ে ফেলতে কতোটা প্রস্তুত সেটাই প্রশ্ন করা দরকার। দেশের মর্যাদা বাড়লে সেই মর্যাদা অনুযায়ী আচরণকে সুসংহত করা কিন্তু আমাদের কাজ। লেখক : অর্থনীতিবিদ
আপনার মতামত লিখুন :