সাকিবুল আলম: [২] গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দোহা চুক্তি অনুযায়ী, আল কায়েদার সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক না রাখার অঙ্গীকার করেছিলো তালিবান।তবে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা তালিবানের এ অঙ্গীকারকে পুরোপুরি বিশ্বাস করেনি। আরব নিউজ,দ্য হিন্দু
[৩] যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বৃহস্পতিবার কুয়েতে চার দিনের সফরের সমাপনী বক্তব্যে বলেছেন, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল কায়েদা যুক্তরাষ্ট্রে হামলার উদ্দেশ্যে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করেছিলো। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার ও তালিবানের ক্ষমতা দখলের পর আবারো নতুন করে আল কায়েদার কর্মকাণ্ড শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।
[৪] লয়েড অস্টিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আল কায়েদার বৈশিষ্ট্যই এ রকম। তারা এভাবেই তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে। তিনি আরো বলেন, আল কায়েদার ফিরে আসা ঠেকাতে ও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর সম্ভাব্য সব ধরনের হুমকি মোকাবেলায় প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র।
[৫] মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সক্ষমতার কথাও প্রকাশ করেন। আফগানিস্তানে যেকোনো ধরনের সস্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রুখে দেওয়ার কথা জানান তিনি। তবে আফগানিস্তানে কোনো সেনাঘাঁটি না থাকায় কাজটি কঠিন হবে বলেও জানিয়েছেন।
[৬] ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত চলা তালিবান শাসনামলে আফগানিস্তানে আশ্রয় পেয়েছিলো আল কায়েদা। বিশ বছরের যুদ্ধ অনেকটা দুর্বল হয়ে গেলেও তালিবানের কাবুল দখলের পর থেকেই তাদের নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।