শিমুল মাহমুদ: [২] দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি পাওয়ার প্রথম পথ হলো অ্যাপিলেট ডিভিশনের রায়। সেখানে তার আবেদনটি অপেক্ষমান।
[৩] মামলা বিচারাধীন, তাই স্থায়ী মুক্তি দেয়ার সুযোগ সরকারের নেই। এ মতামত দিয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চেয়ে আবেদন করাই একমাত্র পথ।
[৪] বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, সাজার কার্যকারিতা শর্তহীনভাবে স্থগিত করার একমাত্র ক্ষমতা সরকারের হাতে। এজন্যে প্রয়োজন সদিচ্ছা। ফৌজদারী কার্যবিধির ৪০১ (১) ধারা বলে দণ্ড স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব, একথা শুরু থেকেই তার আইনজ্ঞরা বলে আসছেন।
[৫] তিনটি আইনি পথের পাশাপাশি অপর যে পথটি রয়েছে বলে মনে করা হয়, তা আন্দোলন।
[৬] গেলো বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবারো আবেদন করেন তার ভাই শামীম ইস্কান্দার। সেখান থেকে আবেদন যায় আইন মন্ত্রণালয়ে। আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, মতামত দিয়ে আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
[৭] স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এখন জার্মানি সফরে। কাল ১০ সেপ্টেম্বর তিনি দেশে ফেরার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের মতামত দিয়ে আবেদনটি পাঠাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।
[৮] গত বছরের ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে বেগম জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। এরপর তিন দফায় মুক্তির মেয়াদ বাড়ে, যা শেষ হচ্ছে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব