খালিদ আহমেদ :[২] দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে গিয়ে ধরা পড়া পুলিশ কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানাকে পুলিশ রিমান্ড শেষে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[৩] বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সোহেল রানাকে কুচ বিহার জেলার মেখলিগঞ্জের স্থানীয় নিম্ন আদালতে তোলা হয়। দুই দফায় সাতদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
[৪] আসামিপক্ষের আইনজীবী তপন রায় প্রধান বলেন, সোহেল রানার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। আমরা আবেদন করেছি, জেলে থাকা অবস্থায় যেন ওনার শারীরিক পরীক্ষা করা হয় এবং প্রোপার মেডিকেল ট্রিটমেন্ট করা হয়। আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এবং জেলারকে আদালত সোহেল রানার শারীরিক কন্ডিশন দেখভাল করার জন্য অর্ডার করেছেন।
[৫] সোহেল রানার বিরুদ্ধে ই-অরেঞ্জ নামে অনলাইন মার্কেট প্লেসের সঙ্গে যোজসাজশ থাকার অভিযোগ রয়েছে, যে প্রতিষ্ঠানটির মালিককে প্রতারণার মামলায় ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসামি হিসেবে রানাকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে দিল্লির কাছে। ৩ সেপ্টেম্বর চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার হন প্রতারক সোহেল রানা।
[৬] এদিকে সোহেল রানাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি) চিঠি দেয় পুলিশ সদর দপ্তর।