লিহান লিমা: [২]আফগানিস্তানে সরকার গঠনসহ বিদেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সমাঝোতা করতে এখন ব্যতিব্যস্ত তালিবান। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশও গোপন আলোচনা থেকে বের হয়ে প্রকাশ্যেই এই কট্টর ধর্মীয় গোষ্ঠিটির সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা করছে। পাকিস্তান রেডিও
[৩] শুক্রবার কাতার ্ও তুরষ্ক যখন আফগানিস্তানের নতুন তালেবান সরকারকে কাবুল বিমানবন্দর পুনরুদ্ধার এবং সক্রিয় করতে সহায়তা করছে তখন সংগঠনটির সঙ্গে কূটনৈতিক বৈঠক করেছে ব্রিটেন, জার্মানি ও চীন।
[৪] তালিবান রাজনৈতিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবদুল সালাম হানাফি চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউ জিংাংহাওয়ার সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন এবং আফগানিস্তানের চলমান পরিস্থিতি এবং দুই দেশের ভবিষ্যত সম্পর্কের রুপ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
[৫] তালেবানের মুখপাত্র সুহেল শাহীন এক টুইট বার্তায় বলেছেন, চীন কাবুলে তাদের দূতাবাস বজায় রাখবে এবং অতীতের তুলনায় দুই দেশের সম্পর্ক আরো উন্নত হবে। তুরষ্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু আঙ্কারায় সাংবাদিকদের বলেছেন, কাবুল বিমানবন্দরে বাণিজ্যিক ফ্লাইটের জন্য তালেবানকে অবশ্যই নিরাপত্তা সহ অন্যান্য শর্ত পূরণ করতে হবে।
[৬] জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস বলেছেন, তালেবানরা কিছু শর্ত পূরণ করলে জার্মানি কাবুলে কূটনৈতিক উপস্থিতি পুনরায় শুরু করতে প্রস্তুত।
[৭] এদিকে যুক্তরাষ্ট্র তার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আফগানিস্তানে ব্যক্তিগত রেমিট্যান্স প্রক্রিয়াকরণের অনুমতি দিয়েছে। এক বিবৃতিতে, ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বলেছেন, অর্থ স্থানান্তরের অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত টলটলায়মান আফগান অর্থনীতির জন্য কিছুটা স্বস্তিকর হতে পারে। গত মানের ১৫ তারিখে তালেবান কাবুল দখল করার পর যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশ আফগানিস্তানের প্রায় ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আটকে দেয়।