নিজস্ব প্রতিবেদক: [২] বাংলাদেশে এসে হিমশিম খেতে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদেরও এবার একই দশা। দুই দলের ক্রিকেটাররাই উইকেট নিয়ে খানিক অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে তাদের এই ভোগান্তির নেপথ্যে তাদেরই সিদ্ধান্ত।
[৩] করোনার ভয়ে তটস্থ অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সফরের ক্ষেত্রে জুড়ে দিয়েছিল একগাদা শর্ত। এর মধ্যে অন্যতম এক শর্ত ছিল সিরিজের পাঁচটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে একই ভেন্যুতে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ঢাকা ও চট্টগ্রামে সিরিজ আয়োজন করতে চাইলেও শেষপর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার চাহিদা অনুযায়ী সব ম্যাচ রাখা হয় অভিন্ন ভেন্যুতে।
[৪] স্বভাবতই সেই ভেন্যু দেশের ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। বৈচিত্র্যময় উইকেটের কারণে মিরপুরের পরিচিতি ছিল আগে থেকেই। এবার আবহাওয়ার প্রভাবে উইকেট হয়ে উঠেছে বোলার বান্ধব।
[৫] অস্ট্রেলিয়ার মত নিউজিল্যান্ডও এক ভেন্যুতে সব ম্যাচ খেলার দাবি জানায়। তাদের সব ম্যাচও তাই আয়োজন করা হয়েছে মিরপুরে। এক ভেন্যুতে টানা খেলা আয়োজন করায় সফরকারীদের জন্য উইকেট আরও বিরূপ হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান।
[৬] তিনি বলেন, সমস্যা হচ্ছে একই মাঠে খেলায়। আমরা চেয়েছিলাম দুইটা ভেন্যুতে যাতে খেলা হয়। ওরাই চেয়েছে একটা ভেন্যুতে খেলতে। ওরা এখানেই খেলবে, এখানের বাইরে যাবে না। কিছু দিন আগে অস্ট্রেলিয়া খেলে গেছে, এখন নিউজিল্যান্ড খেলছে। উইকেটেরও তো বিশ্রামের প্রয়োজন আছে। সবকিছু বিবেচনায় রাখতে হবে। কাল উইকেট কঠিন ছিল, সন্দেহ নেই।
[৭] উইকেটের প্রভাব অবশ্য শুধু অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ডের ক্ষেত্রেই নয়, স্বাগতিক দলের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। অসুবিধা হলে তাই উভয় দলেরই হচ্ছে। বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে আকরাম জানান, প্রথমেই একটা জিনিস বলি উইকেট খারাপ হলে তা দুই দলের জন্যই ছিল। শুধু নিউজিল্যান্ডের জন্য খারাপ ছিল তা না। আমাদের খেলোয়াড়রাও কষ্ট করে রান করেছে। উইকেট যেমনই হোক দুই দলের জন্যই তো সমান থাকছে।