শিরোনাম
◈ ‘তুমি কেন ফুয়েল কেটে দিলে?’ ভারতীয় বিমান বিধ্বস্তের আগে পাইলটদের শেষ ককপিট ভয়েস রেকর্ডিং ◈ দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের জন্য সুখবর: মৃত্যু হলে লাশ দেশে পাঠাবে সরকার, ক্ষতিপূরণ মিলবে বীমার আওতায় (ভিডিও) ◈ বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে যাচ্ছে ভারত: পিউ রিসার্চ ◈ বেপরোয়া বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ছয় মাসে নিহত ৪৩ ◈ স্প‌্যা‌নিশ ক্যাবরেরাই থাক‌ছেন বাংলা‌দেশ ফুটবল দ‌লের কোচ ◈ সন্ধ‌্যায় নেপালের বিরু‌দ্ধে লড়াই‌য়ে নাম‌ছে বাংলা‌দে‌শের মে‌য়েরা ◈ ঢাকায় হবে এশিয়া কাপের সভা, ভারত অংশ নে‌বে না ◈ এবার যে কারণে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেন ড. ফয়জুল হক ◈ ফিলিস্তিনকে অবিলম্বে স্বীকৃতি দিতে ব্রিটিশ সরকারকে ৬০ জন এমপির চিঠি ◈ সায়মা ওয়াজেদের ছুটি জবাবদিহির পথে গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ : প্রেসসচিব

প্রকাশিত : ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৮:২৬ সকাল
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৮:২৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আসিফ আকবর : ক্যাপ্টেন নওশাদ, আপনি বাংলাদেশের গর্ব

আসিফ আকবর : ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম। ইতোমধ্যে আমরা জেনে গেছি ভদ্রলোক হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন ইন্ডিয়ার একটি হাসপাতালে। রিপোর্ট পড়ে যতোটুকু জেনেছিÑ এ নিয়ে তিনি দুই দফায় প্রায় তিন শতাধিক যাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়েছেন বাংলাদেশ বিমানের ককপিটে বসে। হায়াত-মউত আল্লাহর হাতে, ক্যাপ্টেন নওশাদ একজন উসিলা মাত্র। ভদ্রলোকের বয়স এমন কিছু হয়নি। ছোট দুটো সন্তান রয়েছে উনার। বিশেষজ্ঞদের মতামতে বোঝা গেছে মানুষটা খুবই দায়িত্বশীল ছিলেন। কাজ করতে করতেই আল্লাহর প্রিয় হয়ে গেলেন।

বাংলাদেশে এমন বীরের জন্ম হয়েছে বারবার, আমরা তাদের মনে রাখি না। কয়েকদিন মিডিয়া আর ফেসবুকে হয়তো আলোচনা হবে কিছু, আবার ভুলে যাবো তাদের। অথচ এ ধরনের মানবপ্রেমী দায়িত্বশীল মানুষগুলো হতে পারে ভবিষ্যত প্রজন্মের আইকন। চর্বিতচর্বন রাজনীতির ভাঙ্গা রেকর্ড জেনারেশন এখন নেয় না, টিকটক আইটেম মনে করে, দলকানাদের কথা অবশ্য আলাদা। সরকারি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে হোস্টেলে থেকে পড়তে হলে ছাত্ররাজনীতি নামে দানবের কাছে স্টিম্মি হতে হয়। ক্ষমতার গরম দেখিয়ে বাধ্য করে শ্রদ্ধা আদায় আর আদর্শিক রাজনীতি আসলে আলাদা জিনিস। সরকারি কিংবা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে ঝামেলামুক্ত জীবনের খোঁজে মেধাবীরা চলে যায় দেশ ছেড়ে। এ ধরনের সিস্টেম লসের কারণে মেধা পাচার হচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ।
ক্যাপ্টেন নওশাদের মতো ক্রান্তিবীরদের জাতীয় সম্মাননা দেওয়া হলে তরুণ প্রজন্ম দেশপ্রেমে উজ্জ্বীবিত হবে। একুশে পদক স্বাধীনতা পদক-সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় পদক নিয়েও দলাদলির শেষ নেই। অনেক গুণীজন পুরস্কার পাওয়ার জন্য অপেক্ষা না করে বাগিয়ে নেওয়ার ধান্দায় যেকোনো ক্ষমতাসীন দলের তাঁবেদার হয়ে যায়। আর শান্ত্বনা হিসেবে মরণোত্তর পুরস্কার জোটে ভদ্রলোকদের ভাগ্যে। ক্যাপ্টেন নওশাদ আপনি বাংলাদেশের গর্ব। আপনাকে মরনোত্তর সম্মান জানানো ছাড়া আর কোনো যোগ্যতা আমার নেই। মহান আল্লাহ আপনার পরিবারকে ধৈর্য্যধারণ করার শক্তি দিন। আমীন। ঘনঘন স্মৃতিভ্রমে আক্রান্ত এই জাতির একজন গর্বিত সন্তান আপনি। আপনাকে সশ্রদ্ধ স্যালুট জানাই ভাই। ভালোবাসা অবিরাম। লেখক : সংগীতশিল্পী। ফেসবুক থেকে

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়