মাসুদ আলম: [২] র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল মুত্তাকিম বলেন, মঙ্গলবার ভোরে সাভারের আশুলিয়ায় জয়নাল নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় মূলহোতা সাব্বির হোসেনকে লালমনিরহাট থেকে এবং আনোয়ার হোসেন ও মো. সুরুজ আলীকে মানিকগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[৩] তিনি আরও বলেন, সাব্বির আশুলিয়ার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। তিনি স্ত্রীকে নিয়ে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে দুই রুমের একটি ফ্ল্যাটে বসবাস শুরু করেন। জয়নাল ও সাব্বির বন্ধু। সে সুবাধে সাব্বিরের ভাড়া বাসায় মে মাস থেকে সাবলেট হিসেবে থাকেন জয়নাল। একই বাসায় বসবাসের ফলে সাব্বিরের স্ত্রীর সঙ্গে জয়নালের সুসম্পর্ক তৈরি হয়, যা সাব্বির বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক হিসেবে সন্দেহ করেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। মনোমালিন্যের জের ধরে গত জুন মাসে সাব্বির তার স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ি লালমনিরহাটে পাঠিয়ে দেন। জয়নালও বাসা ছেড়ে দেন।
[৪] তিনি বলেন, সাব্বির স্ত্রীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার পর জয়নালকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। হত্যার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সাব্বির জয়নালকে চাকরি দেয়ার কথা বলে আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে পুনরায় তার বাসায় নিয়ে আসেন। এরপর জয়নালকে হত্যার জন্য সাব্বির পরিকল্পিতভাবে তার গ্রামের বন্ধু আনোয়ার ও সুরুজকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। গত ১৪ আগস্ট রাতে সাব্বির, আনোয়ার ও সুরুজ মিলে জয়নালকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। হত্যার পর একটি পানির ড্রামে জয়নালের মরদেহ রেখে দরজা বন্ধ করে বাসায় তালা দিয়ে তারা সবাই পালিয়ে যান। গ্রেপ্তার এড়াতে তারা মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন।
[৫] মুত্তাকিন বলেন, গত ২৮ আগস্ট দুপুরে ওই বাসার গোসলখানার পানির ড্রাম থেকে জয়নালের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহ পচে কঙ্কাল হয়ে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছিলো না।