আনিস তপন: [২] গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি যাদুঘর প্রাঙ্গনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে অনুষ্ঠিত সভায় এই দাবি করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।
[৩] তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান সম্পূর্ণভাবে জড়িত ছিলেন। এ হত্যাকাণ্ডে তার সপক্ষে বিভিন্ন তথ্য এবং দালিলিক প্রমাণ রয়েছে।
[৪] প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আত্মস্বীকৃত খুনি কর্নেল রশিদ, হুদা পাশাসহ অনেকের বিচার হয়েছে, অনেকের রায় কার্যকর করা হয়েছে। আবার অনেকে এখনো বিদেশে পলাতক। তাদের বিচারের রায় কার্যকর করা যায়নি।
[৫] তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল কুশীলব জিয়াউর রহমান নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে অথচ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে একে একে সমস্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করেছেন। উনি এদেশের স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসন করেছেন। সাড়ে ১২ হাজার মানবতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী ও দালালকে মুক্ত করেছেন। রাজাকার প্রধান গোলাম আযম যার নেতৃত্বে একাত্তরে গণহত্যা হয়েছিলো সেই গোলাম আযমকে বিদেশ থেকে এনে দেশে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন জিয়া। রাজাকার আল বদরদের রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলেও জিয়া তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন। সম্পাদনা: মিনহাজুল আবেদীন।