আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] ২০ বছর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ আফগানিস্তান আক্রমণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এতে আকুণ্ঠ সমর্থন ছিলো বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ সকল সিনেটরের। সেই যুক্তরাষ্ট্র দেশটি ছেড়ে যখন চলে যাচ্ছে, তখন আবারও দৃশ্যপটে তালিবানরাই। এবার তারা আরো সুসংগঠিত এবং দেশ চালাতে প্রস্তুত। বিবিসি
[৩] আফগানিস্তান ত্যাগের আগমুহুর্তে যুক্তরাষ্ট্র ড্রোন হামলা চালিয়ে ৯ জন বেসামরিক আফগানকে হত্যা করেছে। ৯ জনের পরিবারে ৬ জনই ছিলো শিশু। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রকে আফগানদের চোখে খলনায়ক বানিয়ে দিতে পারে। জনপ্রিয়তা আরো বাড়তে পারে তালিবানের।
[৪] যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গেই অবসান ঘটবে ২০ বছরের আফগান যুদ্ধের। এই যুদ্ধ শুরুর আগে ক্ষমতাচ্যুত হয় তালিবানরা। বহু বছর তারা গিরি কন্দরে, মরুতে, গুহায় আশ্রয় নিয়ে বিচ্ছিন্ন লড়াই চালিয়ে গেছে। এর মধ্যেই একা জীবন কাটাতে কাটাতে মারা গেছেন মোল্লা ওমর। কিন্তু তালিবান হারিয়ে যায়নি। মোল্লা বারাদার তাদের আবার সুসংগঠিত করেছেন।
[৫] তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানিয়ে দিয়েছেন, তার সংগঠন মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পরপরেই সরকার গঠন করবে। ইতোমধ্যে মোল্লা বারাদারসহ বেশ কিছু জেষ্ঠ্য নেতা আফগানিস্তানে পৌঁছেছেন। তবে সরকার গঠন না করলেও বর্তমানে দেশ চালাচ্ছে তালিবানই। ইতোমধ্যেই সংগীত নিষিদ্ধ, সহশিক্ষা নিষিদ্ধ, পর্দা ও অভিবাবক ছাড়া মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যাওয়া বন্ধসহ বেশ কিছু নিয়মের কথা জানানো হয়েছে। সম্পাদনা: মিনহাজুল আবেদীন।