নিউজ ডেস্ক: তিনদিন আগে ট্রলার নিয়ে পদ্মায় ভ্রমণে যান ১৪ স্কুলশিক্ষক। ফেরার পথে ওইদিন সন্ধ্যায় ট্রলারটি ডুবে নিখোঁজ হন শিক্ষক আলমগীর হোসেন। এখনো ছেলের সন্ধান না পাওয়ায় আহাজারি থামছে না মা আনোয়ারা বেগমের। সন্তানকে ফেরত পাওয়ার আশায় নদীতে দুধ ঢেলে এবং কলাপাতার ওপর বাতাসা ভাসিয়ে দেন তিনি। জাগো নিউজ২৪
শনিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে এমন দৃশ্য দেখে নদীর আশপাশে থাকা মানুষের চোখেও পানি চলে আসে। শুধু আলমগীর হোসেন নন, এ ট্রলারডুবির ঘটনায় আজমল হোসেন নামের আরেক স্কুলশিক্ষকও নিখোঁজ। তার বাড়িতেও স্বজনদের মধ্যে চলছে আহাজারি।
ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে ফেরা এক শিক্ষক রেজাউল করিমের স্ত্রী কেয়া করিম জানান, সন্তান হারানোর বেদনা মা-ই একমাত্র বোঝেন। তারপরও সন্তান বেঁচে আছে কি-না মরে গেছে তাও অনিশ্চিত। মায়ের মন তো, সন্তানকে একবার শেষ দেখা দেখতেই যে যা বলছে তাই করছে। তাই তো ছেলেকে ফিরে পেতে নদীতে দুধ ও কলাপাতায় বাতাসা ভাসিয়ে দেন শিক্ষক আলমগীর হোসেনের মা। এছাড়া আজমল হোসেনের বাড়িতে আহাজারি চলছে
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বুধবার (২৫ আগস্ট) ১৪ জন শিক্ষক মিলে ফরিদপুরের সদর উপজেলার খলিল মণ্ডলের হাট এলাকা থেকে ট্রলারযোগে আনন্দ ভ্রমণে বের হন। সন্ধ্যায় ফেরার পথে ট্রলারের ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দেয়। এ সময় স্রোতের তোড়ে ঘাট এলাকায়ই ডুবে যায় ট্রলারটি। ১২ শিক্ষক ও মাঝি সাঁতরে তীরে আসতে পারলেও ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. আলমগীর হোসেন ও সারদা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. আজমল হোসেন নিখোঁজ থাকেন। চারদিনেও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ফরিদপুরের ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক শিপলু আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে ওই দিন থেকেই উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা হয়। অদ্যাবধি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের সমন্বয়ে কয়েকটি টিম নদীতে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।