নিজস্ব প্রতিবেদক: [২] যশোরে পুলিশের সাবেক এসআই সেলিম আহমেদ বিরুদ্ধে যৌতুক দাবির অভিযোগে মঙ্গলবার ২৪ আগস্ট আদালতে মামলা করেছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী খাদিজা খাতুন।
[৩] আসামি সেলিম আহমেদ খুলনার তেরখাদা উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের আশিকুর রহমানের ছেলে বর্তমানে খুলনার রূপসার চাঁদপুর শিয়েনী এলাকার বাসিন্দা। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সাইফুদ্দীন হোসাইন অভিযোগটি আমলে নিয়ে আসামির প্রতি সমন জারির আদেশ দিয়েছেন।
[৪] মামলার বাদী খাদিজা খাতুন ফরিদপুরের কালামৃধা এলাকার বাবুল মোল্যার মেয়ে বর্তমানে যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোড বেলতলার বাসিন্দা।
[৫] মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর ৩ লাখ টাকা দেনমোহরে সেলিম আহমেদের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় সেলিম আহমেদ তাকে জানিয়েছিলেন যে, তার প্রথম স্ত্রী মারা গেছেন। এ কারণে তিনি ফের বিয়ে করছেন। খাদিজা খাতুনকে বিয়ে করার সময় তার পিতা বাবুল মোল্যার কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেছিলেন সেলিম আহমেদ। কিন্তু বাবুল মোল্যা জামাইকে যৌতুক দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। তবে বিয়ের পর সেলিম আহমেদ যৌতুকের ৫ লাখ টাকার দাবিতে খাদিজা খাতুনকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। এক পর্যায়ে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে খাদিজা খাতুনের পিতা বাবুল মোল্যা জামাই সেলিম আহমেদকে ৩ লাখ টাকা যৌতুক প্রদান করেন। এরই মধ্যে খাদিজা খাতুনের একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। সুমাইয়া সুলতানা নামে ওই মেয়ের বর্তমান বয়স দেড় বছর। কিন্তু মেয়ে জন্মগ্রহণের ৫-৬ মাস পর ফের সেলিম আহমেদ যৌতুকের বাকী ২ লাখ টাকার জন্য খাদিজা খাতুনকে শারীরিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন। এক পর্যায়ে গত ২৩ জুন সেলিম আহমেদ স্ত্রী খাদিজা খাতুনকে সন্তানসহ তার পিতা বাবুল মোল্যা বাড়িতে রেখে যান। যৌতুকের বাকী ২ লাখ টাকা না দিলে খাদিজা খাতুনকে নিবেন না বলেও জানিয়ে দেন সেলিম আহমেদ। তিনি একথাও বলেন যে, আগের স্ত্রী-সন্তান নিয়ে এখন ঘরসংসার করবেন।