নুর উদ্দিন মুরাদ : [২] নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে ত্রাণের চাল উদ্ধারের ঘটনায় ইউপি মেম্বারসহ দু’জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে।
[৩] রোববার রাতে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাহমিনা তামান্না বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলেন, ৭নং মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান নুর জাহান (৩৫) ও বাংলাবাজারের মুদি ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন (৪২)।
[৪] নুরজাহান মুছাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজাহানের স্ত্রী ও মো. জামাল উদ্দিন ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শেখ ফরিদ সরদারের ছেলে।
[৫] মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুছাপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজারে জামাল ষ্টোরে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ফজলুল করিম ও কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চালায়। এসময় আসামী জামাল ষ্টোরের মালিক জামাল উদ্দিনের দোকান থেকে ৩০ কেজি ওজনের ৩বস্তা ও ৫০ কেজি ওজনের ১বস্তাসহ ৪ বস্তা ত্রাণের চাউল জব্দ করে। এঘটনায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাহমিনা তামান্না বাদী হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ২৫(১) ধারায় নাম উল্লেখিত দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
[৬] অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নুর জাহান বলেন, প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে গত ১৮ আগস্ট চাল বিতরণের দায়িত্বে ছিলাম। তিনজন সুবিধাভোগীর ভিজিডি কার্ড ও স্বামী শাহজাহানের জেলে কার্ডের (মৎস্য ভিজিএফ) চার বস্তা চাল ওই দোকানে রেখেছিলাম।
[৭] মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম চৌধুরী শাহিন জানান, অসুস্থতার কারণে তিনি ওইদিন চাল বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন না।
[৮] উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাহমিনা তামান্না বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।