আব্দুম মুনিব : [২] পদ্মা ও গড়াই নদীর পানি বৃদ্ধি এবং ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় কুষ্টিয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীরবর্তী অসংখ্য স্থাপনা। এরই মধ্যে নদী পাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকার বসতবাড়ি ও ফসলি জমি নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে।
[৩] প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নদীসংলগ্ন নতুন নতুন এলাকা। চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে পদ্মা ও গড়াই নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ। পদ্মা ও গড়াই নদীর ঝুঁকিপূর্ণ ২৫ পয়েন্ট রয়েছে। নদীর পানি বাড়ার সাথে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন।
[৪] এদিকে কুষ্টিয়ার হার্ডিঞ্জ পয়েন্ট, শিলাইদাহ ও গড়াই নদীর রেলসেতু পয়েন্টে পদ্মা ও গড়াই নদীর পানি বিপদসীমা ইতোমধ্যে ছুঁই ছুই করছে বলে নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়া। গত কয়েকদিনে নদীগর্ভে চলে গেছে অসংখ্য বসতবাড়ি।
[৫] জেলার দুই ইউনিয়ন পদ্মার পানিতে ডুবে ৩৭ গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছে পাউবো। পানি কমতে থাকলে ভাঙ্গন আরও তীব্র হতে পারে বলে আশংকা করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। এ ছাড়া বন্যাকবলিত ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ-সামগ্রী বিতরণ করেছেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম।