ইমরুল শাহেদ: করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব এখনো কমেনি। এই মহামারিতে প্রতিদিন অনেকেই মারা যাচ্ছেন। এমনও দেখা গেছে, একজন করোনাক্রান্তকে অ্যামলেন্সে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে অক্সিজেন সাপোর্টের অভাবে পথেই মারা যাচেছন। পরিচালক নজরুল ইসলাম খানের মেয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনি বলছিলেন, ‘মেয়েটাকে আমি অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে পারিনি।’ পরিচালক কাজী হায়াৎ করোনার সঙ্গে রীতিমত যুদ্ধ করে বেঁচে এসেছেন।
তিনি বলেছেন, আইসিইউর নিবিড় পরিচর্যার চাইতে একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার অনেক বেশি কার্যকর। তারাসহ আরো কয়েকজন চিত্রকর্মীর সঙ্গে বিষয়গুলো আলোচনার পর প্রযোজক, পরিবেশক ও পরিচালক খোরশেদ আলম খসরু অক্সিজেন ব্যাংক তৈরির উদ্যোগ নেন এবং নাম দেন ‘চলচ্চিত্র অক্সিজেন ব্যাংক’। এই উদ্যোগের উদ্বোধন করেছেন তথ্যমন্ত্রী। খোরশেদ আলম খসরু প্রথমে ১০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে এই ব্যাংক তৈরির উদ্যোগ নেন। এই উদ্যোগের সঙ্গে আরো ১০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে যুক্ত হন অভিনেতা অনন্ত জলিল।
খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘আমার হাতে এখন ৫০টি সিলিন্ডার আছে। আমি অচিরেই এই সংখ্যা ১০০-তে উন্নীত করার চেষ্টা করব। বাকিগুলো আমার বন্ধু-বান্ধব থেকে সহায়তা হিসেবে নিয়েছি।’ এই সিলিন্ডার কারা পাবেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘চিত্রকর্মীদের কেউ করোনা আক্রান্ত হলে বা তাদের পরিবারের কেউ আক্রান্ত হলে এবং অক্সিজেন প্রয়োজন হলে বিনামূল্যে এই ব্যাংক থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি চলচ্চিত্রের মানুষ। তাদের নিয়েই আমার সুখ-দুঃখের জীবন। আমি যদি তাদের কোনো কাজেই না আসলাম তাহলে তাদের সহকর্মী হয়ে লাভ কি? আমি চিত্রকর্মীদের পাশে আছি এবং সব সময় থাকতে চাই।’ এছাড়া বিনোদন সাংবাদিক যারা রয়েছেন এবং এফডিসির স্টাফরাও এখান থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার সহায়তা পাবেন। খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘আমরা নজরুল ইসলাম খানের মতো অক্সিজেন সাপোর্টের অভাবে আর কোনো চিত্রকর্মী পিতার বুক খালি হোক সেটা চাই না।’