শিরোনাম
◈ গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন শিগগিরই: ট্রাম্প ◈ জুলাই বিপ্লবের পর রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা পাইনি — উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ◈ ক্ষুদ্র ইন্টারনেট অপারেটরদের বাজার থেকে হটাতে ডিডস আক্রমণ চলছে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ◈ হিন্দুদের কারো কারো ‘জামায়াতে যোগ দেওয়ার’ কারণ কী, তাদের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ আছে? ◈ বাংলা‌দেশ‌কে হা‌রি‌য়ে সি‌রি‌জে ২-১ এ এ‌গি‌য়ে গে‌লো আফগা‌নিস্তান ◈ গণতন্ত্র ধ্বংসের চক্রান্ত চলছে, ৭ নভেম্বরের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: মির্জা ফখরুল ◈ হংকং সি‌ক্সেস ক্রিকে‌টে শ্রীলঙ্কা‌কে ১৪ রা‌নে হারা‌লো বাংলাদেশ ◈ শনিবার থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি প্রাথমিক শিক্ষকদের ◈ নির্বাচনের আগে গণভোট চাওয়া নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র: মির্জা ফখরুল ◈ ফেব্রুয়ারির প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্বাচন আয়োজনের পূর্ণ প্রস্তুতি সম্পন্ন: ইসি মাছউদ

প্রকাশিত : ২১ আগস্ট, ২০২১, ০৬:২৩ বিকাল
আপডেট : ২১ আগস্ট, ২০২১, ০৬:২৩ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পরিবার নিয়ে অসহায় লাইনম্যান পঙ্গু আওরিয়া

আবু হাসাদ : বাবার মারা যাবার পর সংসারের দ্বায়িত্ব এসে পড়ে একমাত্র ছেলে আওরিয়ার উপর। পরিবারের ৫ সদস্যের খাবার যোগান দিতে ঠিকাদারের মাধ্যমে শুরু করেন পল্লী বিদ্যুতের লাইনম্যানের কাজ।

দীর্ঘ কয়েক বছর কাজ করে বিয়ে দেন বড় দুই বোনের। গত তিন বছর আগে তিনিও বিয়ে করেন। এখন উপযুক্ত ছেলের সাথে ছোট বোনের বিয়ে দিতে পারলেই মাথার বোঝা হালকা হবে তার।এরপর মা ও স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে সংসার গড়বেন আওরিয়া আলী। এমন স্বপ্ন ছিল তার দীর্ঘদিনের।

বিদ্যুৎ লাইনের কাজ করার সময় প্রায় ৬ মাস আগে দুর্ঘটনার শিকার হন আওরিয়া। এরপর অর্থাভাবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা করাতে না পেরে অবশেষে তাত ক্ষনিক একটি পা কাটাতে হয়েছে। এরপর থেকে তার পরিবারে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার।

আওরিয়া আলী (২৫) রাজশাহীর পুঠিয়ায় উপজেলার কান্দ্রা গ্রামের মৃত সিরাজ আলীর ছেলে।

ভুক্তভোগি আওরিয়া আলী বলেন, গত কয়েক বছর যাবত নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অধিনে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেতু ইন্জিনিয়ারিং এর কাজ করে আসছিলাম। গত ২৫ ফেব্রুয়ারী পুঠিয়া উপজেলার বানেস্বর এলাকায় লাইন নির্মাণ কাজ করার সময় দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। এতে অথৈর অভাবে সঠিক সময় চিকিৎসা করাতে না পেরে অবশেষে বাম পা পুরোই কাটাতে হয়।

তিনি বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিধি মোতাবেক লাইনে কাজ করা অবস্থায় ঠিকাদারের কোনো শ্রমিক পঙ্গু হলে তার সকল চিকিৎসা ব্যবস্থা করা এবং ওই পরিবারকে ৫ লাখ টাকা অনুদান দেয়ার নিয়ম রয়েছে। আর মারা গেলে ১০ লাখ টাকা দেয়ার বিধান রয়েছে। অথচ আমার দুর্ঘটনার পর অর্থ সহায়তা তো দুরের কথা চিকিৎসা খরচও দেননি পল্লী বিদ্যুত অফিস এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। বাড়িতে যা সস্বল ছিল তা বিক্রি করেও চিকিৎসার খরচ হচ্ছে না। তার উপর সংসারে মা, বোন, স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের খরচাপাতি কোথা থেকে আসবে সেটা ভাবলে মনে খুবই কস্ট লাগে।

নিয়ম অনুসারে আমার পাপ্য অনুদানের জন্য ঠিকাদার ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কতবার গেলাম কিন্তু তারা আমাকে পাত্তাই দেন না। সময়মত সঠিক চিকিৎসা করাতে পারিনি। যার কারণে তার বাম পা পুরো কাটা পড়েছে। অথচ ওই ঠিকাদার ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিস কোনো খোঁজ খবর করেনি আমার । এখন ঘরে একটা বিবাহযোগ্য বোন, মা ও আমার স্ত্রী সন্তান নিয়ে চরম অর্থ সংকটে পড়েছি।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেতু ইন্জিনিয়ারিং এর কর্ণধার মেরাজুল ইসলাম বলেন, আমার অধিনে যে কাজ গুলো হচ্ছে তা এখনো শেষ হয়নি। যার কারণে ওই কাজের কোনো বিল পাইনি। অফিস থেকে বিল পেলে ক্ষতিগ্রস্থ্য আওরিয়ার পরিবারকে কিছুটা সহায়তা করা হবে।

এ ব্যাপারে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শাখাওয়াত হোসেন বলেন, লাইন নির্মাণ কাজ করা অবস্থায় আহত হয়ে পঙ্গু হয়ে যাওয়া ওই ভুক্তভোগি পরিবার অফিসে আবেদন করেছেন। আমরা বিষয়টি অবগত আছি। আমরা বিধি মোতাবেক অচিরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়