আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] তালিবানরা কাবুল দখল করতেই বিমানবন্দরে শুরু হয় হুড়োহুড়ি। এতে তৎক্ষণাৎ মারা যান ৫ জন। বিমানের ডানাতে ঝুলে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার চেষ্টা করলে আকাশ থেকে খসে পড়ে ২ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়াও একটি বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে একজনের দেহাবশেষ মিলেছে। ভাইরাল হয়েছে গ্লোবমস্টারের ভেতরে ৬৪০ আরোহীর ছবিও। কিন্তু প্রশ্ন হলো, দেশ ছাড়তে অতি আগ্রহী এই আফগান কারা?
[৩] তালিবানরা শুরু থেকেই বলে আসছেন, তারা আগের রুদ্রমুর্তি ধারণ করবেন না। কিন্তু ৯০ দশকের দু:সহ স্মৃতি ভুলতে পারেননি অনেকেই। তারা তালিবানদের বিশ্বাস করতে আগ্রহী নন। এই পলাতকদের দলে তারা আছেন। কিন্তু এর বাইরেও একাধিক গ্রুপ আছে, যারা তালিবান শাসনে থাকতে চায়না।
[৪] এদের অনেকেই সাবেক আফগান সরকারি কর্মকর্তা। তালিবান দমনে তারা ভুমিকা রেখেছেন। তালিবানরা তাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে। কিন্তু এরপরেও সবার আস্থা ফেরেনি। তারা চেষ্টা করছেন পৃথিবীর নানান দেশে আশ্রয় নেওয়ার।
[৫] ন্যাটো বাহিনীর দোভাসী হিসেবে যারা কাজ করেছেন, তালিবানরা তাদের প্রকাশ্য শত্রু মনে করে। যুক্তরাষ্ট্র এদের মধ্যে ৪০ হাজারকে আশ্রয় দিতে চায়, যুক্তরাজ্য নেবে ২০ হাজার। এমনকি উগান্ডাও ২ হাজার মানুষকে আশ্রয় দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র এদের চলে যাওয়াকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।
[৬] এর বাইরে আছেন শিল্পি, সাহিত্যিক, অভিনেতা, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীরা। তারা মনে করছেন তালিবানরা প্রগতিশীল ধ্যান-ধারণা গ্রহণ করবে না। এর বাইরে তো আছেই পুরোনো দু:সহ স্মৃতি। বার বার আসছে সাবেক কমিউনিস্ট প্রেসিডেন্ট নজিবুল্লাহ হত্যার গল্প। তাকে অঙ্গচ্ছেদ করে এরপর ল্যাম্পপোস্টের সঙ্গে ফাঁসি দিয়েছিলো তালিবানরা। তার বিচার যিনি করেছিলেন, তিনিই আজ ‘আমির-উল-মুমেনিক’। সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই এই মানুষের ভয়ে পালাতে চাচ্ছেন। সম্পাদনা: মিনহাজুল আবেদীন।