শিরোনাম
◈ স্থানীয় জনগণ ও বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে  পরিকল্পনা প্রণয়ণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ সব শক্তি, সাহস পেয়েছি মা-বাবার কাছ থেকে: প্রধানমন্ত্রী ◈ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ◈ অবৈধ বাংলাদেশিদের দ্রুত ফেরত পাঠাবে ব্রিটেন  ◈ কুমিল্লায় বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত ৫, আহত ৭ ◈ নাইজেরিয়ায় মসজিদে তালা দিয়ে আগুন, ১১ মুসল্লির মৃত্যু ◈ র‌্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হচ্ছে, এমন দাবি মিথ্যা: যুক্তরাষ্ট্র ◈ স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীর প্রাণহানি চেষ্টার নিন্দা জানালেন শেখ হাসিনা ◈ এনইসি সভায় ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন ◈ বর্তমান ডামি সরকার দেশটিকে একটি লুটপাটের দেশ বানাতে চাচ্ছে: রিজভী

প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট, ২০২১, ০৪:০১ দুপুর
আপডেট : ১৮ আগস্ট, ২০২১, ০৪:০১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] তালেবানের ক্ষমতা দখলে দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে

লিহান লিমা: [২] শরণার্থীর ঢলে শঙ্কায় ইউরোপ ও মধ্য এশিয়া। মার্কিন সমর্থিত আফগান সরকারের পতন এবং তালেবানের দেশ দখল এই অঞ্চলের দেশগুলোর রাজনীতিতে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। প্রতিবেশী দেশগুলো বিশৃঙ্খলা এবং অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে, সেই সঙ্গে অবধারিতভাবে যোগ হয়েছে শরণার্থীদের জোয়ার যা ইউরোপ পর্যন্ত গড়াবে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল

[৩] চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত বিরোধী উভয়ই আফগানিস্তান ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আফগানিস্তান ও সিরিয়ায় ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত গৌতম মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘এই সম্ভাব্য ভূরাজনৈতিক পুর্নগঠন সবকিছু উল্টে দিতে পারে।’ বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসলামাবাদ ১৯৯৯ সালের মতোই তালেবানকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করতে পারে। আর মস্কো ও বেইজিং যদি তালেবানকে স্বীকৃতি দেয় তবে এটি অনুসরণ করা ভারতের জন্য কঠিন হবে। এই ইস্যুতে ভারতের জন্য কোনো সহজ বিকল্প নেই কিন্তু এই সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক ভূরাজনীতিকে প্রভাবিত করবে।

[৪] ইতোমধ্যে সহিংসতার শিকার হয়ে লাখো শরণার্থী পাকিস্তানে বসবাস করছে ইসলামাবাদ আরো শরণার্থীর ঢলের আশঙ্কা করছে। রোববার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন, শান্তিপূর্ণ এবং স্থিতিশীল আফগানিস্তান নিশ্চিত করতে আফগান নেতাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ প্রয়োজন।

[৫] জুলাইতে তালেবানের রাজনৈতিক শাখার প্রধান মোল্লা আব্দুল গণি বারাদারের সঙ্গে বেইজিং আলোচনা করে এবং আফগানিস্তানকে অস্থিতিশীল করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে। তবে এখন কাবুলে ক্ষমতার হঠাৎ পরিবর্তনে বেইজিংয়ের উদ্বেগের বিষয় হলো শিনজিয়াং প্রদেশের সঙ্গে আফগানিস্তানের যে ৫০ মাইল সীমান্ত রয়েছে তাতে অনুপ্রবেশ ঠেকানো এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। ওয়াশিংটনে জার্মান মার্শাল ফান্ডের ফেলো অ্যান্ড্র স্মল বলেন, ‘চীন এটাকে অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের সুযোগ হিসেবে দেখছে না, তারা আফগানিস্তানে ধর্মীয় সশস্ত্র গোষ্ঠিগুলোর উত্থান নিয়ে উদ্বিগ্ন।’

[৬] ইরান জানিয়েছে তারা সীমান্তে আফগান শরণার্থীদের সাময়িক আশ্রয় দেবে কিন্তু পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে তাদের ফেরত পাঠানো হবে। বহু বছর ধরে ইরান কাবুল সরকারের সঙ্গে মিত্রতা সহ তালেবানদের গোপনে কূটনৈতিক পরামর্শ এবং অস্ত্র সহায়তা দিয়ে সু² ভারসাম্যপূর্ণ কৌশল গ্রহণ করে আসছে।

[৭] তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান ইরান সীমান্ত দিয়ে আফগান শরণার্থীদের প্রবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ সতর্ক করেছেন আফগানিস্তানে অস্থিতিশীলতা শীঘ্রই ইউরোপে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আফগানিস্তানে দ্রæত ক্ষমতার পরিবর্তনে মধ্য এশিয়া জুড়ে কিভাবে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাশিয়ার কর্মকর্তারাও। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জুলাইয়ে তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতকারে সন্ত্রাসবাদ বাড়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়