মোহাম্মদ হোসেন: [২] লকডাউনের মধ্যেও এই উপজেলায় বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। প্রতিদিন এই হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পায়।
[৩] গত কয়েক দিন আগে রোগীদের চাপে ২০শয্যা করোনা বেড খালি ছিলো না, করোনা ইউনিটের ভিতরে জায়গা না হওয়ায় অনেক রোগীকে ফেরত না পাঠিয়ে জীবন বাঁচানোর জন্য ভর্তি করে বারান্দায় রেখে চিকিৎসা দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সংক্রমণ হার গত ৫ দিন ধরে ৩০ শতাংশ বা তার সামান্য ওপরে ওঠানামা করছে। হাসপাতালের শয্যা সংকট কাটিয়ে উঠছে ধীরে ধীরে। তবে এতে এখনই স্বস্তিতে না ভুগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
[৪] সোমবার (১৬ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি ছিল ১৫ জন। এঁদের সবাইকে দিতে হচ্ছে অক্সিজেন সাপোর্ট। কারও মুখে অক্সিজেনের মাস্ক, কারও নাকে অক্সিজেনের নল। প্রতিদিন এই রোগীদের অক্সিজেন লাগছে। এখন রোগীদের নাকে অক্সিজেন সরবরাহ করাটাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে একটি চ্যালেঞ্জের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
[৫] উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও)ডাঃসৈয়দ ইমতিয়াজ হোসাইন বলেন, আগস্ট মাসের শুরুতে হাটহাজারীতে করোনা সংক্রমণের হার ছিল দিনে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ। তখন দৈনিক আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও গত ১ সপ্তাহ ধরে করোনা সংক্রমণ অনেকটা কমে আসে। তিনি বলেন, গত জুলাই মাসে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা ওয়ার্ড এ রোগী মোট অক্সিজেন নিয়েছে ১ টন ৯৩ কেজি। ৬,৮ ঘনমিটার এর ১১১টি সিলিন্ডার এবং ১,৩৬ ঘনমিটার এর ৩৮টি