নাঈমুল ইসলাম খান: [২] সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সপ্তাহে ৩২ লাখ টিকা দেওয়ার একটি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু বাস্তবে কর্মসূচির প্রথম দিনই ৩০ লাখ দেওয়া হয়েছে এবং ৬ দিনে মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ৫০ লাখেরও বেশি।
[৩] ৩২ লাখের ঘোষণা দিয়ে ৫০ লাখ টিকা দেওয়ায় এসময়ের সংবাদপত্রগুলোতে বার বার লেখা হয়েছে যে, নির্ধারিত সংখ্যার চাইতে বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ সংবাদপত্র বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত সব খবরই ছিলো একইরকম ইতিবাচক।
[৪] মিডিয়ায় বার বারই নির্ধারিত সংখ্যার চাইতে অনেক বেশি টিকা প্রদানের হিসাব নিকাশে টার্গেটের কত শতাংশ বেশি টিকা দেওয়া হলো, সেই সফলতার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এখানে দাঁড়ালো, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যা ঘোষণা দিয়েছে, করেছে তার ঢের বেশি। অর্থাৎ ‘প্রমিজ্ড লেস, ডেলিভারড মোর’।
[৫] অথচ এই কর্মসূচির সাত/আটদিন আগে আরেকটি ঘোষণায় এক সপ্তাহে এক কোটি টিকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিলো। পরবর্তীকালে টিকার সংস্থান না হওয়ায়, সেই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়নি বরং মধ্যখানে মিডিয়ায় এর জন্য ব্যাপক নিন্দা সমালোচনা (ব্যাড প্রেস) হয়েছে।
[৬] উল্লিখিত দুই ঘটনায় আমরা এ শিক্ষাই পেলাম যে, কোনো কর্মসূচি ঘোষণার আগে এর সব দিক সতর্কভাবে বিচার বিশ্লেষণ করার প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়াও এ ধরনের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ঘোষণা করার সময় ভালো হয় যদি, যথাযথ প্রস্তুতি, ক্যাপাসিটি বা সক্ষমতার ভিত্তিতে সঠিক ঘোষণা করা হয়, এটা শুধু নিরাপদই নয়, বরং প্রশংসা পাওয়ার জন্য সহায়ক।
[৭] পাবলিক রিলেশন্স এবং ইতিবাচক পাবলিক পারসেপশন তৈরিতে, পশ্চিমা জগতে ব্যাপকভাবে অনুসৃত হয় ‘প্রমিজ লেস, ডেলিভার মোর’ কৌশল। অনুলিখন: জেরিন আহমেদ