ইমরুল শাহেদ: মডেল ও অভিনেত্রী আফ্রি সেলিনা কঠোর নিষেধাজ্ঞার সময়টা কিভাবে কাটিয়েছেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেছেন, ‘এ সময়টাতে ছিল কোরবানির ঈদ। সেই অর্থে এটা ছিল একটা শোকের সময়। এই সময়টাতে অনেক মেহমান বাসায় এসেছেন। তারা সবাই সুস্থ ছিলেন। এজন্য আমি আনন্দিত এবং আলহামদুলিল্লা।
এছাড়া অনলাইনে ব্রান্ডের কাজ করেছি। দুটি ছবি দিয়ে, একটা ছোট ভিডিও দিয়ে প্রমোটিংয়ের কাজ করেছি। কিন্তু আমরা বাইরে ছুটে চলা মানুষ। মিটিং, শুটিং বন্ধ ছিল-সেটা খুব পেইন লেগেছে। তবে গত বছরের লকডাউন ছিল ডাই-হার্ট। মনে হচ্ছিল আর কোনোদিন বোধহয় সুস্থ হবো না, সুস্থ দেশ পাব না। সে তুলনায় এবারের লকডাউন ছিল কম পেইনফুল। মনে হয়েছে না এখন সব ঠিক হয়ে যাবে। আল্লাহর রহমতে এখন সব কিছু ঠিকঠাক হতে চলেছে।’
তিনি বলেন, ‘সিনেমা তেমন একটা দেখা হয় না আমার। তবুও মাঝেমধ্যে দু’একটা দেখা হয়ে যায়। তবে আমি প্রচুর গল্পের বই পড়ি। আমার প্রিয় লেখক একজনই। তিনি হলেন হূমায়ুন আহমেদ। আমি এখন তার তিনটি বই পড়ছি। তার একটি হলো হিমু সমগ্র। এটা পড়ে শেষ করতে পারিনি। তার আরেকটি বই হাতে নিয়েছি।’ তবে নারী কেন্দ্রিক চরিত্র নিয়ে লেখা বই পড়তে পছন্দ করেন আফ্রি সেলিনা।
তিনি জানান, হূমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট চরিত্রগুলোর মধ্যে হিমু তাকে বেশি টানে। যাহোক, পেশাগত বিষয়ে তিনি বলেন, টিভি পর্দাই তার কাছে একটা পছন্দের জায়গা হয়ে উঠেছে। আফ্রি সেলিনা ‘ষ্টেশন’ ও ‘বিফোর আই ডাই’ ছবি নিয়ে বেশ আশাবাদী। তবে তিনি মূলধারার চলচ্চিত্রে অভিনয় করার কথা আপাতত ভাবছেন না। আফ্রি সেলিনার জন্ম দিল্লিতে হলেও পাঁচ বছর বয়সে বাংলাদেশে চলে আসেন তিনি। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘অন্যপথ’।
নাঈম তালুকদারের পরিচালনায় এই ছবিতে আফ্রি অভিনয় করেছিলেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তের বিপরীতে। অনন্য মামুন পরিচালিত আনিসুর রহমান মিলনের বিপরীতে ‘রোমান্স’ চলচ্চিত্রেও কাজ করেছেন তিনি। এছাড়াও ইদ্রিস হায়দার নির্দেশিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘নীল ফড়িং’-এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন আফ্রি।