আমিনুল ইসলাম: পরীমনি আর ওই পুলিশ অফিসারের একটা ভিডিও দেখলাম। দুজন মিলে কেক কাটছে। চুমু খাচ্ছে। অল্প একটু নাচানাচিও করছে। আশপাশে আরও মানুষজন আছে বলেও মনে হয়েছে। পরীমনিকে দেখলাম মামা বলে কাকে ডাকছে। ওই পুলিশ কর্তা কিন্তু প্রথম দিনই বলেছেন, পরীমনির সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। তাহলে এই ভিডিও? তো, আপনারা পরীমনিকে ধরে নিয়ে গিয়ে গেলেন। রিমান্ডেও নিলেন। কারণ হচ্ছে পরীমনি খারাপ মেয়ে। সে মদ খায়। বাসায় মাদক রাখে ইত্যাদি। সব পুরুষকে সে খারাপ করে দিচ্ছে। তো, এই পুলিশ কর্তা কী তাহলে নিরপরাধ? তার চাইতে বড় অপরাধ তো মনে হয় না আর কেউ করেছে।
পরীমনির কেসের তদন্তের দায়িত্বে ছিলো এই কর্তার ওপর। তিনি তদন্ত করতে গিয়ে পরীমনির সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছেন। তো, পরীমনি তো অনেক খারাপ মেয়ে। আপনারা তো তাকে নিশি কন্যা, রাতের রানী এসব উপাধি দিয়ে ফেলেছেন। আর এই পুলিশের কর্তা? তাকে কেন আপনারা ‘নষ্ট পুরুষ’ উপাধি দিচ্ছেন না? কেন আপনারা তাকে ‘রাতের রাজা’ কিংবা ‘নিশি পুরুষ’ উপাধি দিয়ে রিমান্ডে নিচ্ছেন না? পরীমনি কি তাকে যাদুর বশে হেমিলনের বাঁশিওয়ালার মতো ডেকে নিয়ে গিয়েছিল? নাকি পুলিশের এই কর্তা নিজের পাওয়ার ব্যবহার করে এই মেয়েটার সাথে সম্পর্ক করেছে?
অথচ এই কর্তা এখনও দিব্যি চাকরি করছে। তার চাকরিও যায়নি। তাকে কেউ ধরেও নিয়ে যায়নি। কেউ রিমান্ডেও নেয়নি। কেউ তাকে নষ্ট পুরুষও আখ্যা দেয়নি।
সমাজ তো খারাপ হচ্ছিলো শুধু মেয়েটার কারণে। আর আপনারা যে নিজেদের পেশাগত পাওয়ার খাটিয়ে মানুষের সাথে দিনে-রাতে অনৈতিক কাজ করছেন। সেটা অবশ্য কোনো অপরাধ না। এতে অবশ্য সমাজের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। আহা, কী চমৎকার আমাদের সমাজ ব্যবস্থা। ফেসবুক থেকে