মনিরুল ইসলাম :[২] টানা ১৯দিন পর কঠোর লকডাউন শিথিল হলো বিধিনিষেধ। বুধবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে গণপরিবহন চলাচল। চালু হয়েছে সরকারি-বেসরকারি অফিসসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। খুলেছে শপিংমল। বন্ধ রয়েছে বিনোদনকেন্দ্র।
[৩] বাসের হেলপারদের গন্তব্যের নাম ধরে হাঁকডাক, দুই বাসের পাল্লাপাল্লি, ট্রাফিক সিগন্যালে অপেক্ষা, ফুটপাতজুড়ে অফিসগামী মানুষের হেঁটে চলা, গণপরিবহনের জন্য যাত্রীদের অপেক্ষা, সব মিলিয়ে চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী ঢাকা।
[৪] বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিধিনেষেধের আগে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে রাজধানীতে তুলনামূলক কম সংখ্যক বাস চলাচল করছে। তবে রামপুরা রুটে একটি বাসের সাথে আরেকটি বাসের সঙ্গে পাল্লাপাল্লি নিয়ে সড়কে চলছে প্রতিযোগিতা।
[৫] এদিকে, নতুন নির্দেশনায় সড়কে অর্ধেক সংখ্যক বাস চলাচল করায় সকালে গণপরিবহন সংকটে পড়েছেন যাত্রীরা। এছাড়া সড়কে ব্যাপক সংখ্যক সিএনজিচালিত অটোরিকশাও চলাচল করতে দেখা গেছে।
[৬] রামপুরা বাজার এলাকায় কথা হয় একজন বেসরকারি চাকরিজীবী শাহ আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, বিধিনিষিধের মধ্যে হোম অফিস ছিল। যাদের সশরীরে অফিস করতে হয়েছে তারা বিভিন্নভাবে অফিসে পৌঁছেছে। কিন্তু আজ থেকে বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার কারণে সবাই অফিসে যাওয়ার জন্য সকাল সকাল বের হয়েছে। কিন্তু গণপরিবহন অর্ধেক চালুর কারণে মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
[৭] এই সড়কে ভিক্টর ক্ল্যাসিক নামের বাসের চালক নজরুল ইসলাম বলেন, সড়কে মানুষের সংখ্যা বেশি। নির্দেশনা অনুযায়ী অর্ধেক বাস চলাচল করছে। তাই যাত্রীরা গণপরিবহনে সংকটে পড়ছেন।
[৮] উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ১ জুলাই থেকে বিধিনিষেধ শুরু হয়। তবে ঈদ উপলক্ষে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আবারও বিধিনিষেধ কার্যকর করা হয়। পরে তা আরেক দফা বাড়িয়ে ১০ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়। আজ বুধবার সকাল থেকে শিথিল করা হয় কঠোর বিধিনিষেধ ।
[৯] প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আজ শপিংমল, মার্কেট ও দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা থাকবে। শিল্প-কারখানা চালু থাকবে। খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁয় অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।