ফরহাদ আমিন: [২] কক্সবাজারের টেকনাফে পৃথক অভিযানে ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে বিজিবি। ওই সময় এক রোহিঙ্গা নারীকে আটক করা হয়েছে।
[৩] আটক হলেন,হোয়াইক্যং ইউপি উনচিপ্রাং শরনার্থী শিবিরের বি-ব্লক, শেল্টার নম্বর ১৫০ বাসিন্দা মোঃ ইউছুফের স্ত্রী হাছিনা বেগম (২৯)।
[৪] মঙ্গলবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (পিএসসি)।তিনি জানান,মঙ্গলবার ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান খারাংখালী বিওপি দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১৪ হতে আনুমানিক ৭০০ গজ দক্ষিণ পূর্ব দিকে মৌলভী পাড়া খাল এলাকা দিয়ে পাচার হবে।এমন তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ান সদরের একটি বিশেষ টহলদল কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে উক্ত এলাকায় গাছের আঁড় নিয়ে কৌশলে অবস্থান নেয়।কিছুক্ষণ পর একজন দুষ্কৃতকারী ব্যক্তিকে নাফনদী ও বেড়িবাঁধ পার হয়ে একটি প্লাস্টিকের বস্তা কাঁধে করে মৌলভী পাড়া খালের দিখে আসতে দেখে।টহলদল দেখা মাত্র তাকে চ্যালেঞ্জ করে।ঔই ব্যক্তি দূর হতে বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই তাঁর কাঁধে বহনকৃত প্লাস্টিকের বস্তাটি ফেলে দিয়ে অন্ধকারে সুযোগ নিয়ে পাশ্ববর্তী গ্রামের ভেতর পালিয়ে যায়।পরে ঘটনাস্থল থেকে ফেলে যাওয়া বস্তাটি উদ্ধার করে তল্লাশি চালিয়ে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
[৬] অপর দিকে সোমবার রাতে উনচিপ্রাং হতে টেকনাফগামী একটি সিএনজি দমদমিয়া চেকপোস্টে আসলে তা তল্লাশি জন্য থামানো হয়।সিএনজি তল্লাশিকালীন একজন নারী যাত্রীর আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় নারী সৈনিক দ্বারা তাকে পুঙ্খানুপুঙ্খাভাবে তল্লাশি ও জিজ্ঞেসাবাদ করা হয়।একপর্যায়ে ওই নারীর পরিহিত বোরকার ভেতর হাঁটুর উপরিভাগে অভিনব পদ্ধতিতে ফিটিং অবস্থায় ২০ হাজার ইয়াবাসহ তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।
[৭] তিনি আরো জানান,উদ্ধারকৃত ইয়াবাসহ আটক নারীকে নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।এছাড়া মালিক বিহীন ইয়াবাগুলো পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করার জন্য ব্যাটালিয়ন সদরে ষ্টোরে জমা রাখা হয়েছে।