শিরোনাম
◈ ভোটারদের পছন্দে কোন দল এগিয়ে, জরিপে উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য ◈ প্রবাসীদের জন্য ইতালিতে নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত প্রধান উপদেষ্টার মুখে ◈ ২০ বছর পর জেইসি বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ◈ নি‌জের মাঠে ভারত সিরিজ শুরুর আগে ধাক্কা খেলো অস্ট্রেলিয়া ◈ ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন  বন্ধ না করলে ব্লক হতে পারে : প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ◈ নতুন পে কমিশন প্রায় এক দশক পর গঠিত, সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন দ্বিগুণের ইঙ্গিত ◈ মিরপুরে কেমিক্যাল ‍গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডে ৯ জন নিহত ◈ ‘তথ্য গোপনে’ ছড়াচ্ছে অ্যানথ্রাক্স ◈ সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা ◈ হয়রানি-জটিলতা নিরসনে বুধবার থেকে অনলাইনে জামিননামা

প্রকাশিত : ০৯ আগস্ট, ২০২১, ০৮:২৬ রাত
আপডেট : ০৯ আগস্ট, ২০২১, ০৮:২৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ: বঙ্গমাতার অসীম ত্যাগে বঙ্গবন্ধু আজ ইতিহাসের রাজপুত্র

অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ: শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রী। আমাদের বঙ্গমাতা। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরও যাকে আমরা স্মরণ করছি। তাকে আসলে আমাদের স্মরণ করতে হবে বাংলাদেশ যতোদিন বেঁচে থাকবে, ততোদিন। শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব কেন আমাদের বঙ্গমাতা? কীভাবে তিনি বঙ্গমাতা হয়ে উঠলেন? স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে তার অবদান কী, বঙ্গবন্ধু কীভাবে শেখ মুজিব থেকে বাঙালির জাতির জনক হয়ে উঠলেন তা আমরা কমবেশি জানি। কিন্তু তাকে আরো জানার অনেক আছে। চর্চার অনেক কিছু আছে।

কারণ তরুণ প্রজন্মের অনেকেই তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানে না। তাকে না জানলে যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্পর্কেও পুরোপুরি জানা হবে না। বঙ্গবন্ধুকে পুরোপুরি জানা হবে না। বাংলাদেশকেও সম্পূর্ণ জানা হবে না। এতেই বোঝা যায়, শেখ মুজিব থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের গুরুত্ব। বঙ্গমাতা সত্যি সত্যিই একটা বটগাছ ছিলেন, তিনি ছাঁয়া হয়েছিলেন তার পরিবারের। স্বাধীনতা অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তেও তার ছিলো প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা।

বঙ্গমাতা সত্যিকার অর্থেই একজন মহিয়সী নারী, একজন ভালো মা এবং একজন ভালো স্ত্রী ছিলেন। আজকে যাকে আমরা জাতির জনক বলি, যাকে আমরা বঙ্গবন্ধু হিসেবে পেয়েছি, তার উত্থানের পেছনেও বঙ্গমাতার অসামান্য অবদান আছে। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতি বহু সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাকে। এর ফলেই আমরা বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধু হিসেবে পেয়েছি। তার অসীম ত্যাগ, তার কল্যাণেই বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠতে পেরেছিলেন। এটা অস্বীকার করার কোনো উপায়।

বঙ্গবন্ধু সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকতেন রাজনৈতিক, সাংগঠনিক ও অন্যান্য কাজকর্ম নিয়ে। কারাগারে কারাগারেও ছিলেন বহু বছর। এ সময়ে পুরো সংসারটাই বঙ্গমাতা চালিয়েছেন। ছেলেমেয়েদের মানুষ করেছেন। শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, শেখ কামাল, শেখ জামাল কিংবা শেখ রাসেল প্রত্যেকেই তো একেকটা রত্ন। সবাইকে তো বঙ্গমাতাই মানুষ হিসেবে গড়ে তোলেছেন। কারণ বঙ্গবন্ধু তার যাপিত জীবনের চৌদ্দ বছরের মতো সময় কারাগারের অভ্যন্তরে কাটিয়েছেন।

জাতি বঙ্গমাতাকে অনেক কারণেই স্মরণে রাখবে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে সন্তানদের মানুষ করেছেন তিনি। আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তো তারই গর্ভের ধন। রত্ন। এই যে আজকে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গমাতার কাছ থেকেই অনেক কিছু শিখেছেন। জনতাকে ভালোবাসার দীক্ষাটা শেখ হাসিনা মায়ের কাছ থেকেই পেয়েছেন। বাবার কাছ থেকে তো পেয়েছেনই। ফলে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বাবা-মায়ের দেখানো পথ অনুসরণ করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিপদসংকুল যতো পথ আছে তা বয়ে চলেছেন। প্রতিকূলতা মোকাবেলা করছেন। এদেশের মানুষ যাতে একটা উন্নত জীবনযাপন করতে পারে, এর জন্য রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছেন বাবা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব।

বঙ্গমাতা আজ আর আমাদের মধ্যে নেই। যদি বেঁচে থাকতেন, যদি ঘাতকেরা হত্যা না করতো, তাহলে হয়তো আজও আমরা তাকে অনুপ্রেরণা হিসেবে পেতাম। আমাদের উৎসাহিত করতেন। এগিয়ে যেতো বাংলাদেশ অনেক দূর। কিন্তু ঘাতকেরা আমাদের সাহস, আমাদের শক্তি, আমাদের অনুপ্রেরণার জায়গাগুলো বেছে বেছে নিশ্চিহ্ন করেছে। হত্যাকারীরা মনে করেছিলো, জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যা করলেই তারা এদেশকে নরকে পরিণত করতে পারবে, কিন্তু তাদের সেই ধারণা যে ভুল তা আজ সত্যে পরিণত হয়েছে। জাতির জনক ও বঙ্গমাতা আমাদের মধ্যে না থাকলেও সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া তাদের সন্তান শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা আমাদের আশার প্রদীপ হয়ে আছেন। আলো জালাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার রক্ত যতোদিন এই বাংলাদেশে জীবিত থাকবে, ততোদিন বাংলাদেশ নিরাপদ থাকবে। বাংলাদেশ ভালো থাকবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। বঙ্গমাতার প্রতি জাতি কৃতজ্ঞ। জন্মদিনে বঙ্গমাতার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা। আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুন। লেখক: প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়