লিহান লিমা: [২] মেক্সিকোর একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসারত ২০ বছরের শিক্ষার্থী দিয়াগো বলেন, ‘বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার সময় ভেবেছিলাম আমি সংক্রমিত হবো না। কিন্তু এখন আমি এখানে। এটি তামাশার বিষয় নয়। এটি অনেক ভয়ঙ্কর রোগ।’ এই হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া ১৬ রোগীর মধ্যে একজন তিনি। যাদের বয়স ২০-৩০। এনডিটিভি
[৩] বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহামারীর প্রথম ঢেউ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসার পর ডেল্টা ধরণ হামলে পড়ায় নতুন সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে সামাজিক দুরুত্ব হ্রাস বিশেষ করে তরুণ মেক্সিকানদের উদাসীনতায় সংক্রমণ মাত্রা ছাড়িয়ে যায়।
[৪] হাসপাতালের নার্সিং বিভাগের প্রধান জেসুস ভিক্টোরিয়া বলেন, ‘বর্তমানে মানুষের ঘরে থাকার ইচ্ছে নেই, সরকারেরও কাউকে ঘরে থাকতে বলার ইচ্ছে না। শপিং মল, সিনেমা ও স্পোটর্স সেন্টারগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। জুলাইয়ের শেষের দিকে ১৮-উর্ধ্বদের টিকাদান শুরু হয়েছিলো। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে গিয়েছে। ভর্তি হওয়া অনেক তরুণের মৃত্যু দেখেছি আমরা। আমরা ব্যর্থ হয়েছি।’
[৫] যুক্তরাষ্ট্রে মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ নাগরিক দুই ডোজ টিকা নিলেও ডেল্টার দাপটে দেশটিতে এখনো প্রতিদিন ১ লাখ নতুন আক্রান্ত হচ্ছেন। গত এক সপ্তাহে দেশটিতে বেড়েছে দৈনিক মৃত্যুর হার। পরিস্থিতি সামলাতে টিকা গ্রহণকারীদের মাস্কের বিধি-নিষেধ তুলে নিলেও পুনরায় তা জারি করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :