শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ০৭ আগস্ট, ২০২১, ০৩:৩৪ রাত
আপডেট : ০৭ আগস্ট, ২০২১, ০৩:৩৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] জবিতে নাজুক ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ডেঙ্গু আতঙ্ক

অপূর্ব চৌধুরী: [২] জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও নাজুক ড্রেনেজ ব্যবস্থার ফলে বৃদ্ধি পেয়েছে মশার প্রকোপ। তবে এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ন,ক্যাম্পাস পরিষ্কার -পরিচ্ছন্ন করা ও মশা নিধনের কার্যকর কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।ফলে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডেঙ্গু আতঙ্ক বিরাজ করছে।

[৩] বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ময়লার স্তূপ, সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমা এবং ড্রেনগুলো আবদ্ধ থাকায় পানি আটকে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে।

[৪] সরেজমিনে দেখা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের পাশের ড্রেনে কাগজ,পানির বোতল এবং নানা ধরনের ময়লা আবর্জনা জমে আছে। ফলে ড্রেনটি আবদ্ধ হয়ে পড়েছে।এতে করে পানি নিষ্কাশনে বিঘ্ন ঘটছে। নতুন একাডেমিক ভবন ও দ্বিতীয় গেইটের পাশের ড্রেনগুলো গাছের পাতা, লোহার বিভিন্ন সরঞ্জাম ও আবর্জনায় পরিপূর্ণ হয়ে আছে। ড্রেন আটকে থাকায় সেখানে ময়লা পানি জমে আছে।

[৫] ভাষা শহীদ রফিক ভবনের পাশেই পলিথিন,ব্যবহৃত নানা ধরনের প্লাস্টিক সামগ্রী এবং ময়লার স্তূপ লক্ষ্য করা যায়। এসব ময়লার স্তূপ থেকে দুর্গন্ধ ছড়ানোর পাশাপাশি মশা-মাছির উপদ্রবও বাড়ছে।বিজ্ঞান অনুষদের বিভিন্ন জায়গায় পানি জমাট বেধে স্যাঁতসেঁতে হয়ে আছে।একই অবস্থা প্রশাসনিক ভবনের পেছনের জায়গা এবং ক্যাফেটেরিয়ার পাশের বেসিন ও ড্রেনে।

[৬] এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন, লোকপ্রশাসন বিভাগ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ ও অর্থনীতি বিভাগের পেছনের অংশে নানারকম ময়লা আবর্জনা এবং আবদ্ধ ড্রেনেজ ব্যবস্থা লক্ষ্য করা গেছে।ময়লা আবর্জনা জমে পানির প্রবাহ আটকে থাকায় সেখানেও দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

[৭] পুরো ক্যাম্পাস জুড়েই আবর্জনার স্তূপ থাকলেও ময়লা-আবর্জনা ফেলার কোন নির্ধারিত ডাস্টবিন বা ঝুড়ি নেই।তাই সবাই তাদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র অকপটেই যত্রতত্র ফেলে রাখছে।এতে সার্বিকভাবেই নোংরা হচ্ছে পরিবেশ। আর এসব অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ থেকেই মশার উপদ্রব বাড়ছে। ফলে ডেঙ্গু ঝুঁকিতে রয়েছে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়।

[৮] বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মচারী বলেন,ক্যাম্পাসে ময়লা ফেলার জন্য কোন বিন নেই।মাত্র একটি জায়গায় (কাঁঠালতলায়) ময়লার কন্টেইনার আছে।এতদূরে গিয়ে অনেকে আলসেমি করে ময়লা আবর্জনা ফেলতে চায়না। ফলে যেখানে সেখানেই ময়লা ফেলা হয় আর সেখান থেকেই মশার উপদ্রব সৃষ্টি হয়। মাঝে মাখে স্প্রে করা হলেও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জন্য মশা ঠিকই জন্ম নিচ্ছে।

[৯] এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন বলেন,ডেঙ্গুর প্রকোপ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের যেসব জায়গায় ময়লা আছে এবং পানি জমে আছে সেগুলো অতি দ্রুত পরিষ্কার করা উচিত।লকডাউনের ফলে বিষয়টিতে একটু স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এখন অফিসিয়াল কাজের জন্য অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। তাই ক্যাম্পাস পরিষ্কার করা অত্যাবশ্যক।

[১০] জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, সুইপারদের সাথে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করছে। পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশন থেকেও মশা নিধনের ঔষুধ দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে।

[১১] বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রেনেজ ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডেঙ্গুর অবস্থা ভয়াবহ। তাই আমরা ক্যাম্পাস পরিষ্কার করার কাজ চালিয়ে যেতে চাই। আর এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়েও আমাদের পরিকল্পনা আছে।ড্রেনগুলো যেন সবসময় প্রবাহমান থাকে এবং পানি যেন আটকে না থাকে সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি।

[১২] তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ কামাল হোসেন সরকার বলেন, এস্টেট শাখার প্রধান হচ্ছে রেজিস্ট্রার মহোদয়। আমাদের যখন যেসব নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে আমরা সেটা করছি। এখন মশা নিধনের ঔষুধ দেওয়ার জন্য সিটি কর্পোরেশনের সাথে যোগাযোগ করছি।এছাড়াও ক্যাম্পাস পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজ করব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়