রুবেল মজুমদার: [২] গোমতী নদীটি কুমিল্লার দুঃখ নামে পরিচিত। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর-পূর্ব পার্বত্য অঞ্চলের ডুমুর নামক স্থানে উৎপন্ন হয়ে ১৫০ কিঃ মিঃ অতিক্রম করে কুমিল্লা সদর উপজেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তারপর গোলাবাড়ী, টিক্কারচর, কাপ্তানবাজার হয়ে জেলার বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া, দেবিদ্বার কোম্পানীগঞ্জ দাউদকান্দি হয়ে মেঘনার সাথে মিলিত হয়েছে।
[৩] এক সময় বর্ষা মৌসুমে এ নদীতে জালে ধরা পড়তো বাগদা, চিংড়ি, বোয়াল, কালি বাউশ, বাইমসহ আরো নানান প্রজাতির মাছ।
[৪] সম্প্রতি সময় দেখায় যায় গোমতী নদীর অনেক স্থানে জেলেদের জালে দু- একটা করে ধরা পড়ছে রূপালী ইলিশ। ধরা পড়া ইলিশগুলো নদীর পাড় থেকেই কিনে নেন ক্রেতারা। আবার প্রতিদিন এ ইলিশ দেখতে নদী পাড়ে ভিড় জমাচ্ছে শহরের নানা প্রান্তে থেকে অনেক আম জনতা।
[৫] বরিবার বিকেলে গোমতীর আলেখারচর অংশে জেলেদের জালে চিংড়ি, কালি বাউশের সাথে কয়েকটি ইলিশ মাছ ধরা পড়ে।
জেলে সফিক মিয়া জানান, মাঝে মইধ্যে দুই একডা ইলিশা মাছ পাই। ইলিশ ছোডু আবার বড়ও ধরা পড়ে। কয়দিন আগে এক কেজি ওজনের একটা পাইছি। আশটে‘শ টেহা বেচ্চি।
[৬] এদিকে গোমতী নদীতে ইলিশ মাছ পাওয়া নিয়ে বিস্মিত নয় নদীর পাড়ের মানুষজন।
[৭] নদীটির আদর্শ সদর উপজেলার জালুয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, মইধ্যে মইধ্যে এক দুইডা ইলিশ পাওন যায়। জাউল্লারা জাল দিয়া বেড় দেয়। একটা দুইডা ইলিশ উডে। এডি আবার মাইনষে কিন্না লইয়া যায়। গোমতী নদীতে ইলিশ পাওয়া বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.মহিউদ্দিন মো. শাহাজাহান ভূঁইয়া।
[৮] তিনি বলেন, গোমতী নদীটি মেঘনার সাথে মিলিত হয়েছে। ইলিশ মূলত সামুদ্রিক মাছ। তবে বছরের একটা নির্দিষ্ট সময় প্রজননের জন্য উজানের পদ্মাসহ অন্যান্য নদীতে আসে। হতে পারে পদ্মা ও মেঘনা হয়ে বিচ্ছিন্নভাবে দু‘চারটা ইলিশ গোমতীতে চলে আসছে। এটা স্বাভাবিক কোন ঘটনা নয়