সুজন কৈরী: [২] নোমান গ্রুপের চুরি যাওয়া ৯০টি কাপড়ের রোল ও কার্ভাড ভ্যান উদ্ধারসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
[৩] গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-চক্রের মূল হোতা আসাদুজ্জামান মোল্লা আসাদ, আল আমিন ওরফে সরোয়ার ও আবেদ আলী। তাদের কাছ থেকে প্রায় ৮ লাখ টাকা সমমূল্যের ৯০টি কাপড়ের রোল উদ্ধার করা হয়।
[৪] রোববার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-উত্তর) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার রাত পর্যন্ত ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে রাজধানীর উত্তরা ও গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
[৫] তিনি বলেন, গার্মেন্টসের পণ্য চুরি যাওয়ার ঘটনায় সম্প্রতি একটি কমিটি হয়। সেখানে ডিবি পুলিশও রয়েছে। এরপর এসব ঘটনা তদন্তের ধারাবাহিকতায় এই চুরি চক্রকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। নোমান গ্রুপের কাপড় চুরি যাওয়ার ঘটনার দুই দিনের মধ্যেই গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে উত্তরার আব্দুল্লাহপুর ধৌর ব্রিজ এলাকা থেকে কাভার্ড ভ্যানসহ চালক আসাদুজ্জামান মোল্লা আসাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকা থেকে আল আমিনের গোডাউন থেকে চুরি যাওয়া তোষক ও কাপড়ের ব্যাগ তৈরির কাজে ব্যবহৃত ৮ হাজার ৪৬০ মিটার কাপড় উদ্ধার ও চক্রের অপর দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[৬] হরুন অর রশীদ বলেন, আসাদ কাভার্ড ভ্যান চালক হিসেবে বিভিন্ন গার্মেন্টসে চাকরি নেন। গার্মেন্টসের মালামাল পরিবহনের সময় সুবিধামতো সময়ে কাভার্ড ভ্যানসহ চুরি করে নিখোঁজ হয়ে যান। পরে আবার অন্য গার্মেন্টসে চাকরি নিয়ে নতুন করে চুরির পরিকল্পনা করেন। আসাদ চুরি করে কাভার্ড ভ্যানসহ কাপড়গুলো আল আমিনের গোডাউনে রাখতেন। এরপর আবেদের মাধ্যমে চোরাই বাজারে সেসব কাপড় বিক্রি করা হতো। কাপড়গুলো গ্রেপ্তার আবেদের মাধ্যমে গাজীপুরের এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রির পরিকল্পনা ছিলো। আসাদের বিরুদ্ধে এর আগেও গাজীপুরের কালিগঞ্জ ও টঙ্গী পূর্ব থানায় মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
[৭] ডিবির যুগ্ম কমিশনার বলেন, গার্মেন্টস মালিকদের এ বিষয়ে আরও সচেতন হতে হবে। চালক ও হেলপার নিয়োগ দেওয়ার আগে তাদের পরিচয়পত্র, ঠিকানা, তাদের ব্যবহৃত নম্বর এবং স্বজনদের বিস্তারিত তথ্য রাখা উচিত। তাদের চরিত্র সম্পর্কেও খোঁজখবর নেওয়া উচিত। এছাড়া সার্বক্ষণিক কাভার্ড ভ্যানের অবস্থান নির্ণয়ে জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম ব্যবহার করার জন্যে গার্মেন্টস মালিক ও গাড়ির মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
[৮] এক প্রশ্নের জবাবে হরুন অর রশীদ বলেন, এই চক্রের সঙ্গে আরও কয়েক জনের নাম পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।