তরিকুল ইসলাম: [২] পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ তথ্য জানিয়ে বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা দেশটির নাগরিকদের সেখানেই ফিরতে হবে। এর বাইরে অন্য কোনো বিকল্প প্রস্তাব গ্রহণ করবে না বাংলাদেশ।
[৩] বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগিতা ও প্রাপ্ত অনুদানগুলো গ্রহণে বাড়তি সতর্কতার কথা উল্লেখ করে বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবসন প্রক্রিয়া নিয়ে বাংলাদেশের যে মূল ফোকাস পয়েন্ট রয়েছে, তার বাইরে যায় এমন বিষয়গুলোতে নজর রাখতে হচ্ছে।
[৪] পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ভৌগলিক অবস্থান ও আয়তন অনুয়ায়ী আমাদের এখানে জনসংখ্যার ঘনত্বটা সবারই জানা। বিষয়টি এমন না যে, আমাদের ব্যপক জায়গা পড়ে আছে এবং সেখানে আশ্রয় নেওয়াদের স্থায়ীভাবে রেখে দেওয়া সম্ভব !
[৫] বিভিন্ন দেশ ও দাতা সংস্থাগুলো একেক সময় একেক আবদার করে, কিন্তু তারা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে সচেষ্ট নয়। এতা বড়ো জনগোষ্ঠিকে স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ দেওয়া কোনো দেশের পক্ষেই সম্ভব না।
[৬] বিশ্ব ব্যাংকের প্রস্তাব মেনে না নিতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগকে চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং তাদের সঙ্গেসহ সরকারের অন্যান্য অংশীজনদের সাথেও এ নিয়ে বৈঠক করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
[৭] বিশ্ব ব্যাংকের প্রস্তাব মেনে নিলে তাদেরকে নিবন্ধনের আওতায় এনে সামাজিক পরিচয়পত্রও দিতে হবে। এতে রোহিঙ্গারা দেশের যেকোনো স্থানে চলাচল করতে পারবে, কাজ করতে পারবে এবং ব্যবসাও পরিচালনা করতে পারবে। এটা বাংলাদেশের পক্ষে মোটেই সম্ভব নয়।