মোঃ আদনান হোসেন : [২] ঢাকার ধামরাই উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নে নও গাঁও বাজারে গাজীখালী নদী ভাঙনে ২টি দোকান ঘর ভেঙে নদীতে বিলীন হয়েগেছে। এতে দোকান মালিকরা ব্যবসার মালামাল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। এখন তাদের পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় নেয়।
[৩] এছাড়া মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে বাজারের দোকানসহ নওগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আশ্ররাফ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় সহ বাজারের শতাধিক দোকান ঘর হুমকির মুখে রয়েছে বলে বিষয়টি সুতিপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল করিম রাজা নিশ্চিত করেছেন।
[৪] নদীর পারে শত বছরের একটি বটগাছ রয়েছে সেটার গোরায়ও ফাটল ধরেছে যে কোনো সময় নদীতে ভেঙে পড়ে যাবে বলে জানান স্থানীয়রা।
[৫] নওগাঁও বাজারের ২টি দোকান নদীতে বিলীন হওয়ার কারণে দোকান মালিকগণ নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছে। এতে করে আশে পাশের এলাকা গুলিতে হাহাকার দেখা দিয়েছে। এই দিকে ধামরাই উপজেলার প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ নাথাকায় এলাকাবাসি ক্ষোভ প্রকাশকরে।
[৬] সরেজমিনে গিয়ে দোকান মালিক সূত্রে জানা যায়, গাজীখালী নদীর উপর ব্রিজের কাজ চলছে। এতে নদীর দক্ষিণ পাশে কয়েকটি ইটভাটার গাড়ী ও লোকজন চলাফেরা করার জন্য ইটভাটার মালিকগণও ব্রিজ নির্মাণের ঠিকাদারের যোগশাজসে নদীর মধ্যে একটি বাঁধ নির্মাণ করেন। সেখানে ছোট একটি পাইপ দিয়ে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করেন।
[৭] কিন্তু সেই কালভাট দিয়ে ওজানের পানি দ্রত বের হতে না পারায় নদীতে অতিরিক্ত স্রোত হওয়ার কারণে নওগাঁও বাজারের দোকান ঘর ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় বলে দাবি করেন বাজারের দোকান মালিকগণসহ নওগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ।
[৮] ইটভাটার মালিকদের বাইপাস রাস্তার কারণে কারণে স্কুল, মসজিদ ও ছাত্র-ছাত্রীদের খেলার মাট
নদীর ভাঙনের ফলে হুমকির মুখে রয়েছে। নদীর মধ্যে বাঁধ কেটে দেওয়া ও ভাঙন ঢেকাতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চায় নওগাঁও বাজারের দোকান মালিক ও এলাকাবাসি।তবে নদী ভাঙ নের কবল থেকে বাচতে বাজারের লোকজন বাঁশ দিয়ে বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন ঢেকানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।
[৯] এই বিষয়ে দোকান মালিক মো.আমজাদ হোসেন বলেন, আমি গত কাল সারাদিন দোকান করে সন্ধ্যার পর দোকন বন্ধ করে বাড়ী যায় আজ সকালে দোকানে এসে দেখি আমার দোকানের মালামালসহ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আমার যা কিছু ছিল সবশেষ হয়ে গেছে।আমি এখন কি করবো ।ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাইলে তিনিবলেন দোকানের ভিতরে অনুমানিক প্রায় ৫লক্ষ টাকার মাল ছিল।
[১০] এই বিষয়ে দোকান মালিক মোঃ বিল্লাল হোসেন বলেন, আমি গরীব মানুষ।বয়লার মোরগীর দোকান করে কোন রকমে দিন চলে। আমি গতকাল ১৫০টি বয়লার মোরগী রেখে দোকান বন্ধ করে বাড়ী যায়। আজ সকালে এসেদেখি আমার দোকান নদীতে চলে গেছে আমি একটি মোরগীও রক্ষা করতে পারি নাই।
[১১] এই বিষয়ে নওগাঁও বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ শহীদুল ইসলাম বলেন, ইটভাটার মালিকরা নদীর মধ্যে বাঁধ দেওয়ার কারণে পানির স্রোত বেশি হওয়ায় আজ বাজার ও স্কুল মসজিদ হুমকির মধ্যে পড়েছে।
[১২] এই বিষয়ে সুতিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন,আমি সরোজমিনে দেখে ইটভাটার মালিকদের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি। আমার কোনও সহযোগিতা লাগে তাহলে আমি করবো।
[১৩] এই বিষয়ে নওগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক গোলাম রসুল বলেন, নদীর স্রোতে স্কুল ভাঙ্গার বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
[১৪] এই বিষয়ে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(u.n.o) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি বলেন,আমি উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের সাথে কথা বলে নদী ভাঙনরোধের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ