শাহীন খন্দকার: [২] বুধবার (২৮ জুলাই) কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
[৩] তিনি বলেন, এটি আমাদের নজরে রয়েছে, পাশাপাশি সংশ্লিষ্টরাও কাজ করছেন। তথ্য-উপাত্তগুলো এক জায়গায় হওয়ার পর আমরা নিশ্চিত তথ্য দিতে পারবো। তবে গতকাল পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৩০১ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন। মোট মৃত্যুর হার ৩১ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
[৪] ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, বিভাগওয়ারী তথ্য অনুযায়ী করোনায় ঢাকায় সব থেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে। এরপর রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ, তারপর খুলনা। তবে সব থেকে কম সংখ্যক রোগি মারা গেছেন সিলেট বিভাগে। ঢাকা জেলায় সব থেকে বেশি সংখ্যক রোগি শনাক্ত হয়েছে, চার লাখ ১৯ হাজার ১২৮ জন। তারপর বন্দর নগরী চট্টগ্রামের অবস্থান। সেখানে ৭৪ হাজার ১৯৩ জন রোগি। তবে রাজশাহী জেলায় সব থেকে কম রোগি অর্থাৎ ১৮ হাজার ৮৩৮ জন শনাক্ত হয়েছে।
[৫] তিনি বলেন, হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো এই অতিমারি মোকাবিলার একমাত্র পথ নয়। সংক্রমণের শৃঙ্খল ভেঙে ফেলার চ্যালেঞ্জ আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। তবে মানুষের কাছ থেকে মানুষের মধ্যে যেনো সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে, সেদিকে নজর রাখতে হবে। তাহলে হাসপাতালে শয্যা সংখ্যার ওপর চাপ কমবে।
[৬] তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন জেলায় বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহ বন্ধ রয়েছে। এই উদ্যোগটিকে আবারও চালু করতে পারবো বলে আমরা আশাবাদী। কারণ আমাদের প্রশিক্ষিত মেডিকেল টেকনোলোজিস্টের স্বল্পতা রয়েছে। তারপরেও সীমিত সংখ্যা নিয়েই আমরা চেষ্টা করছি সার্ভিসটি চালু রাখতে। সম্পাদনা: মিনহাজুল আবেদীন।