আব্দুল্লাহ মামুন: [২] ঈদের পর শুরু হওয়া ‘কঠোরতম লকডাউনের’ ৪র্থ দিনে পুরো ঢাকাতে মানুষ ও যানবাহন চলাচল বেড়েছে। তবে অধিকাংশই প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল ও পণ্যবাহী পিকআপ। অনেকেই হেঁটে রাজধানীতে প্রবেশ করছেন। এদিকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-রুট দিয়ে সরকারি-বিধিনিষেধ আর স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে যাত্রীরা ফেরিতে পদ্মা পার হচ্ছেন।
[৩] গুলশান-২ এর মোড় গুলোতে দেখা যায় মানুষের চলাচল বেড়েছে এবং রিকশা, ছোট ছোট পরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার বেড়েছে। ২৩ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউনে জরুরি সেবা ব্যাতিত সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, পরিবহণসহ সবকিছু বন্ধ থাকলেও অনেকে বলছেন অফিসে, হাসপাতালে, ঠিকা দানের প্রয়োজনে বের হতে হচ্ছে।
[৪] জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হয়ে পুলিশের হাতে জরিমানা দিয়েও কিছু যানবাহন চলাচল করছে। অনেক স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট ঢিলেঢালা থাকায় অবাধে মানুষ চলাচল করছেন।
[৫] বেসরকারি চাকরিজীবী আমিন তালুকদার। মোটরসাইকেল চালিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসছিলেন অফিসের কাজে। তেজগাঁও এসে পুলিশের চেকপোস্টে আটকানো হয়। দায়িত্বরত পুলিশ মোটরসাইকেলের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাইলে রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেখাতে না পারায় ১২০০ টাকার মামলা দায়ের ও নগদ আদায় পরে পুলিশ।
[৬] গত রোববার থেকে বিভিন্ন অফিস খোলা থাকায় সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল গত দুই দিনের তুলনায় বেড়েছে। সকাল থেকে সড়কে পরিবহনের চাপ কিছুটা বেড়েছে।