শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৪ জুলাই, ২০২১, ০২:৩১ রাত
আপডেট : ২৪ জুলাই, ২০২১, ০২:৩১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আফসান চৌধুরী: ঢাকা কলেজে আমাদের একসঙ্গে বসার আন্দোলন

আফসান চৌধুরী: ১৯৭০ সালে আমাদের এইচএসসি পরীক্ষার নাম জমা দেওয়ার সময় এলো। আমরা ১০ বন্ধু মিলে একসঙ্গে নাম জমা দিলাম, পরীক্ষা একসঙ্গে দেবো। আমরা সবাই ভালো ছাত্র। অতএব চোরামী করা উদ্দেশ্য নয়, জাস্ট একসঙ্গে বসার মজা। কিন্তু কলেজের প্রিন্সিপাল হাফিজ সাহেব অনুমতি দিলেন না। অতএব আমরা ‘আন্দোলন’ শুরু করলাম। স্লোগান, মিটিং, বক্তৃতা... বেশ মজা আর কী? আমাদের নেতা বন্ধু শাহেনশাহ রিজভী আর হাসান ফেরদৌস, মন্জু, আমি ও অন্যরা তার সহযোগী। প্রিন্সিপাল ক্ষেপলেন, ক্লাসে এলেন, বকলেন, বোঝালেন, কিছুটা থ্রেট দিলেন ইত্যাদি। কী আর করা।

[২ ] তিনি এর পর আরও একটা কাজ করলেন। নির্বাচিত কয়েকজনের বাবাকে ডেকে পাঠালেন, যার মধ্যে আমার বাবা একজন। এতে আমি একটু চিন্তিত হলাম, ভেবে দখলাম কী কুকাম করেছি, পেলাম না। তবু আর কী...? সন্ধ্যায় বাবা বললেন, প্রিন্সিপাল আমাদের কাণ্ড কারখানায় দুঃখিত। ভাবেননি ঢাকা কলেজের ছেলেরা এরকম করবে। ‘ওরা একসঙ্গে কেন বসতে চায়, তারা তো ভালো ছাত্র?’ তারপর একটা কথা বলেছিলেন, ‘ আমি জানি তাদের মধ্যে বেশ কিছু ছেলে আছে যারা আমাদের শিক্ষকদের চেয়ে বেশি জানে কিন্তু তাই বলে এরকম?’

[৩] তিনি একসঙ্গে বসার অনুমতি দিলেও পরীক্ষাই হয়নি যুদ্ধের কারণে। যখন দিলাম তখন পাগল অবস্থা, আইন-কানুন হীন পরীক্ষা। আমরা সেই বন্ধুরা একসঙ্গে বসে ছিলাম। টেবিলের পাশে বই, নোট বুক স্তুপ করা , একবারও কেউ দেখেনি। রেজাল্ট যেমন হবার তেমনই হয়েছিলো। আমরা ভালো ছাত্র। তবে ইউনিভার্সিটিতে গিয়েও একই বিপদ ছিলো। কয়জন শিক্ষক আমাদের চেয়ে বেশি জানতো? তাও ওই ভাবেই পার হওয়া গেলো পড়াশোনা জীবন। লেখক, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়