শাহীন খন্দকার: [২] রাজধানীর লালমাটিয়ায় গরু কোরবানি দিতে গিয়ে আঙুল কেটে ফেলেছেন শহীদ। পরিবার তাকে দ্রুত নিয়ে এসেছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তার বাবা জানান, কোরবানির পশু জবাই দেওয়ার সময় আঙুলের ওপর দিয়ে ছুরি অসাবধানতাবসত চলে যায়। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়, কালক্ষেপণ না করে জরুরি বিভাগে নিয়ে এসেছেন তিনি। চিকিৎসকের পরামর্শে আঙুলে কয়েকটি সেলাই দিতে হবে বলেও জানান তিনি।
[৩] হাসপাতেলর পরিচালক অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, পবিত্র ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি দিতে গিয়ে আহত হওয়ার ঘটনা পুরানো নয়। প্রায় প্রতিবারই এমন ঘটনা ঘটে। তবে এবার যেন একটু বেশি বলে মনে করেন ।
[৪] এদিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহতদের কারো আঙুলে কিছু অংশ কেটেছে, কারও পায়ের; আবার কারো কারো আঙুল কেটে পড়ে গেছে। আবার গরুর শিংয়ের গুতায় আহত হয়েও কেউ কেউ এসেছেন চিকিৎসা নিতে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তাই অন্য রোগীর তুলনায় এই কাটা ছেড়া রোগীর ভিড় বেশি। এর মধ্যে পুলিশ সদস্যও আছেন।
[৫] মনসুর আলী পেশায় একজন কসাই না হলেও ঈদের দিন মাংস কাটতে গিয়ে তার হাতের কনুইতে কোপ পড়েছে চাপাতির। অনবরত সেখান থেকে রক্ত ঝরছে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ক্ষত স্থানে কাপড় পেঁচিয়ে বসে ছিলেন। তারপরও ফোঁটায় ফোঁটায় রক্ত ঝরছে হাসপাতালের মেঝেতে।
[৬] হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, ঈদের দিন হলেও রোগীর অনেক চাপ আজকে। কোরবানির সময় এমনটা প্রায়ই হয়। সকাল থেকে অনেকগুলো রোগী এসেছেন যারা কোরবানি দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন। কারো হাত, কারো পা কিংবা আঙুল কেটে গেছে। আজকে যারা এসেছেন চিকিৎসা নিতে তাদের বেশিরভাগই কোরবানি দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন। সম্পাদনা : ভিকটর রোজারিও