জেরিন আহমেদ: [২] মহামারি করোনার কারণে দেশের চারটি ঈদ উৎসব উদযাপন করা হয়েছে। কিন্তু একটি ঈদেও মানুষকে আটকে রাখা যায়নি। সরকারের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হলেও সফলতা আসেনি। সরকারি বিধি-নিষেধ শিথিল করা হলেও বার বার সচেতন করা হয়েছিলো দেশের জনগণকে সরকারের পক্ষ থেকে। বিধি নিষেধ শিথিল করার পরও কঠোর অবস্থানে মাঠে ছিলো প্রশাসন। যারাই স্বাস্থ্য বিধি মানছে না তাদেরকে জরিমানাসহ অর্থদণ্ড করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে যারা মাস্ক ছাড়া বের হচ্ছেন তাদের মাস্ক পরিয়ে দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খরা বাহিনী। একই সঙ্গে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করছে প্রশাসন।
[৩] এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মানুষ যেভাবে বাড়ি যাচ্ছেন তা আতঙ্কের। এতে ঈদ উৎসব বিষাদে পরিণত হতে পারে। উচ্চ সংক্রমণের মধ্যে এ ধরনের চলাচলে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়বে। তখন হাসপাতালেও শয্যা পাওয়া হয়তো কঠিন হয়ে পড়বে। কারণ সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে।
[৪] বিভিন্ন গণমাাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যেও ঝুঁকি নিয়ে লাখ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। গত ১৫ ও ১৬ জুলাই দুই দিনে ৭০ লাখ মোবাইল সিম ব্যবহারকারী ঢাকা ছেড়েছেন। একজনের দুটি করে সিম হলেও দুই দিনে ৩৫ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। পরবর্তী দুই দিনে আরো বেশি মানুষ ঢাকা ছাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
[৫] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেছেন, কঠোর বিধিনিষেধে সংক্রমণ ও মৃত্যু কমে এটি প্রমাণিত। কিন্তু ঈদকে কেন্দ্র করে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। এছাড়া না করে উপায়ও ছিলো না। কারণ শুধু জনস্বাস্থ্যের বিষয় বিবেচনায় নিলে চলবে না। তবে এখন লক্ষ্য হলো সংক্রমণ ও মোকাবেলা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া। সম্পাদনা : রাশিদ