শিরোনাম
◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা ◈ ভারতের নেপাল নীতিতে 'রিসেট বাটন' চাপলেন মোদি, শিক্ষা বাংলাদেশের কাছ থেকে

প্রকাশিত : ২১ জুলাই, ২০২১, ১২:৪৬ রাত
আপডেট : ২১ জুলাই, ২০২১, ০১:৪০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আন্তঃনগরে স্বাস্থ্যবিধি মানলেও মানা হচ্ছে না লোকাল ট্রেনে

ডেস্ক রিপোর্ট : নোয়াখালী আন্তঃনগরের যাত্রী রামিজ উদ্দিন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সবাইকে স্টেশনে ঢুকতে দিয়েছে। দুই সিটে একজন বসেছি। আন্তঃনগর ট্রেনে ঝামেলা না হলেও লোকাল ট্রেনে বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-জামালপুরের ট্রেনে প্রচুর ভিড় হয়েছে। এই ট্রেনে ছিল যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। মানা হচ্ছিল না কোনও স্বাস্থ্যবিধি। পাশাপাশি সিটে বসে, দাঁড়িয়ে, দরজায় ঝুলে যাত্রীদের বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে। নিউজবাংলা

রাত পোহালেই ঈদুল আজহা। ঈদ উদযাপনে রাজধানীবাসীর বাড়ি ফেরার শেষ সময় মঙ্গলবার। গত ঈদগুলোর মতো এবার বাড়ি ফেরার শেষ সময়ে ট্রেনে নেই তেমন ভিড়। উঠেনি কেউ ট্রেনের ছাদে। বেশিরভাগ মানুষকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে। নির্ধারিত সময়েই ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন।

লকডাউন শিথিল হওয়া পর গত বুধবার সকাল থেকে শুধু অনলাইন ও অ্যাপের মাধ্যমে ঈদ যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে রেলওয়ে। ফলে যাত্রীদের কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেনার কোন সুযোগ নাই।

মঙ্গলবার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, স্টেশনের প্রবেশ মুখে টিকিট ও মুখে মাস্ক ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। মানুষজনের ভিড় এড়াতে মাইকিং করছে রেল কর্তৃপক্ষ। অনলাইনে টিকিট কেনার সুবিধার কারণে এবার যাত্রীদের ভোগান্তি অনেকটাই কম হয়েছে। যারা টিকিট কিনেছেন কেবল তারাই স্টেশনে এসে নির্ধারিত ট্রেনে যাত্রা করতে পারছেন। বেশিরভাগ ট্রেনে এক সিট ফাঁকা রেখে রেখে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায় নোয়াখালী আন্তঃনগর ট্রেন নির্ধারিত সময় দুপুর ৩টা ২০ মিনিটে ছেড়ে যায়। যাত্রীদের দেখা গেছে দুই সিটে একজন করে বসতে।

নোয়াখালীর যাত্রী রামিজ উদ্দিন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সবাইকে স্টেশনে ঢুকতে দিয়েছে। দুই সিটে একজন বসেছি। তবে অনলাইনে টিকিট কাটতে একটু ঝামেলা হয়েছে। অল্প সময়ে সবাই টিকিট কাটতে হুমড়ি খেয়ে পড়ার কারণে রেলওয়ের সাইটে ঢুকতে ঝামেলা হয়েছিল।

আন্তঃনগর ট্রেনে ঝামেলা না হলেও লোকাল ট্রেনে বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-জামালপুরের ট্রেনে প্রচুর ভিড় হয়েছে।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, লকডাউন শিথিল হওয়ার পর থেকে আজকে পর্যন্ত সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা ট্রেন চালাতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের প্রত্যেকটা ট্রেনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদ দূরত্বে যাত্রীদের বসিয়ে তাদের বাড়ি পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি। প্রত্যেকটা ট্রেন আমাদের শিডিউল অনুযায়ী ছেড়েছে।

আগামী লকডাউনের আগে ট্রেন চলাচলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদে বাড়ি ফিরতে আজকেই শেষ ট্রেন চলবে। ঈদের দিন ট্রেন বন্ধ থাকবে। আগামী লকডাউনের আগে শুধু ২২ জুলাই ট্রেন চলবে।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ৭ নম্বর প্লাটফরমে গিয়ে দেখা যায়, বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে জামালপুর কমিউটার ট্রেনটি ছেড়ে যায়। এই ট্রেনে ছিল যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। মানা হচ্ছিল না কোনও স্বাস্থ্যবিধি। পাশাপাশি সিটে বসে, দাঁড়িয়ে, দরজায় ঝুলে যাত্রীদের বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে।

রাজধানীতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী জামালপুরের যাত্রী রেজাউল আলম বলেন, ‘সারা বছর ঢাকায় থাকি। দুই ঈদে বাড়ি যাই। বাবা-মা পথ চেয়ে থাকেন কখন বাড়ি ফিরব।’

ট্রেনের ভিড় ও স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানুষ তো ঈদ করতে বাড়ি যাবেই। সরকারের উচিৎ ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো। ট্রেন কম যাত্রী বেশি। ভিড় তো হবেই। তবে অন্য বছরের তুলনায় এবারের নিয়ম-শৃঙ্খলা ভালো।

জামালপুরের কমিউটার ট্রেনের অনিয়ম ও স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিষয় স্বীকার করে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘কমলাপুর থেকে সিটে লোক ভরে গিয়েছে সঠিক। তেজগাঁও যাওয়ার পর শুনলাম এই ট্রেনের ছাদও ভরে গেছে মানুষে। এতো মানুষের কারণে তাদের ছাদ নামাতে ব্যর্থ হয়েছি আমরা। এত লোক উঠছে যে কোথায় জায়গা নেই। আমরা বাঙালি। ঈদের আবেগে মানুষতো যাবেই। কত মানুষকে ফিরিয়ে দিছি। টিকিট দিতে পারি নাই। আর কমলাপুর ছাড়লে তো আমার দায়িত্বের আওতায় আর পড়ে না।’

স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার জানান, লকডাউন শিথিল হওয়ায় ৩৮টি আন্তঃনগর, ১৯টি মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলছে। স্বাভাবিক সময়ে ১০২টি আন্তঃনগর ট্রেন, ২৬০টি লোকাল, কমিউটার ট্রেন ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়