শিরোনাম
◈ চলতি বাজেটে রাজস্ব খাতে বরাদ্দ বাড়ছে, আগামী বাজেটের রূপরেখা দেবে অন্তর্বর্তী সরকার ◈ খুনিকে দ্রুত জীবিত গ্রেপ্তার চাই, বন্দুকযুদ্ধের নাটক দেখতে চাই না: ইনকিলাব মঞ্চ ◈ আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের দাপট, গোল্ডসহ ১১ পদক অর্জন ◈ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্যাখ্যা দেননি. ইনকিলাব মঞ্চ কর্মসূচি দেবে সোমবার ◈ হাদি হত্যা মামলায় নতুন মোড়, সেই ফয়সালসহ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংকে শত কোটি টাকার লেনদেন ◈ বাংলাদেশের দুর্বল ব্যাংক কিনতে চীনকে প্রস্তাব, সহজ হবে লেনদেন, কমবে ডলারের চাপ (ভিডিও) ◈ চূড়ান্ত হলো বিএনপির ৩০০ আসনের মনোনয়ন, শিগগিরই ঘোষণা ◈ ধ্বংস্তূপ থেকে আবার দেশকে টেনে তুলবে বিএনপি: তারেক রহমান (ভিডিও) ◈ ভোটের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলবে: ইসি ◈ ভারত সফ‌রে মে‌সি ৮৯ কো‌টি টাকা পে‌লেও উদ্যোক্তা শতদ্রু দ‌ত্তের ২২ কোটি টাকা ফ্রিজ করলো তদন্তকারী অ‌ফিসাররা

প্রকাশিত : ১৮ জুলাই, ২০২১, ০৭:৪৪ বিকাল
আপডেট : ১৮ জুলাই, ২০২১, ০৭:৪৪ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] স্ত্রীর মুখে কাপড় গুজে নৃশংসভাবে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার

সুজন কৈরী: [২] যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর মুখে কাপড় গুজে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন স্বামী। ঘটনার চার দিন পর অভিযুক্ত সাগর হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

[৩] সিআইডি বলছে, নাটোরের গুরুদাসপুরের মতিবাড়ি এলাকায় যৌতুক লোভী স্বামী স্ত্রী সুবর্ণা খাতুনকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। শনিবার রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মিয়ার বাজার থেকে ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

[৪] রোববার দুপুরে মালিবাগে সিআইডি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, গত ১৩ জুলাই গুরুদাসপুরের বিয়াঘাট ইউনিয়নে স্ত্রীকে হত্যা করেন স্বামী। এরপর থেকে অভিযুক্ত সাগর পলাতক ছিলেন। তিন বছর আগে সাগরের সঙ্গে ভিকটিমের বিয়ে হয়। যৌতুকের জন্য বিয়ের পর থেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো। ঘটনার দিন রাতে ভিকটিমের মুখে কাপড় গুজে লাঠি দিয়ে নৃশংসভাবে মারধর করেন। এক পর্যায়ে ভিকটিমের মৃত্যু হয়। পরে ভিকটিম গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে চালিয়ে দেওয়া হয়।

[৫] পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, এই ঘটনায় ১৫ জুলাই সুবর্ণার বাবা হাফিজুল সরদার বাদি হয়ে গুরুদাসপুর থানায় সাগর হোসেন এবং তার মা সাবিনা বেগমকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এরপর ঘটনাস্থল থেকেই ১৫ জুলাই সাবিনা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু অবস্থা ভালো না দেখে গ্রেপ্তারের আশঙ্কায় পালিয়ে যান সাগর। এরপর বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আত্মগোপনে থাকা আসামির সম্ভাব্য সব স্থানে অভিযান চালানো হয়। সিআইডির একটি চৌকস দল নৃশংস ও চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাগরকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর সাগর প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়