সুজন কৈরী: [২] যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর মুখে কাপড় গুজে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন স্বামী। ঘটনার চার দিন পর অভিযুক্ত সাগর হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
[৩] সিআইডি বলছে, নাটোরের গুরুদাসপুরের মতিবাড়ি এলাকায় যৌতুক লোভী স্বামী স্ত্রী সুবর্ণা খাতুনকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। শনিবার রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মিয়ার বাজার থেকে ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[৪] রোববার দুপুরে মালিবাগে সিআইডি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, গত ১৩ জুলাই গুরুদাসপুরের বিয়াঘাট ইউনিয়নে স্ত্রীকে হত্যা করেন স্বামী। এরপর থেকে অভিযুক্ত সাগর পলাতক ছিলেন। তিন বছর আগে সাগরের সঙ্গে ভিকটিমের বিয়ে হয়। যৌতুকের জন্য বিয়ের পর থেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো। ঘটনার দিন রাতে ভিকটিমের মুখে কাপড় গুজে লাঠি দিয়ে নৃশংসভাবে মারধর করেন। এক পর্যায়ে ভিকটিমের মৃত্যু হয়। পরে ভিকটিম গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে চালিয়ে দেওয়া হয়।
[৫] পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, এই ঘটনায় ১৫ জুলাই সুবর্ণার বাবা হাফিজুল সরদার বাদি হয়ে গুরুদাসপুর থানায় সাগর হোসেন এবং তার মা সাবিনা বেগমকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এরপর ঘটনাস্থল থেকেই ১৫ জুলাই সাবিনা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু অবস্থা ভালো না দেখে গ্রেপ্তারের আশঙ্কায় পালিয়ে যান সাগর। এরপর বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আত্মগোপনে থাকা আসামির সম্ভাব্য সব স্থানে অভিযান চালানো হয়। সিআইডির একটি চৌকস দল নৃশংস ও চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাগরকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর সাগর প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন।