শিরোনাম
◈ ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে মেট্রোরেলের ৪টি স্টেশনে ফাটল, খসে পড়েছে টাইলস ◈ ৩২ ঘণ্টায় চার ভূমিকম্প: ঢাকায় বড় কম্পনের শঙ্কা বাড়ছে ◈ ঢাকায় ২২ লাখ ভবনের মধ্যে ২১ লাখই ঝুঁকিপূর্ণ, বড় ভূমিকম্পে ভয়াবহ বিপর্যয়ের শঙ্কা ◈ ভূমিকম্পে হতাহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা ◈ উত্তপ্ত আন্ডারওয়ার্ল্ড: আধিপত্যের লড়াইয়ে বাড়ছে খুন-খারাপি ও চাঁদাবাজি ◈ ভূমিকম্পে ফাঁটল: আতঙ্কে ছাত্রাবাস ছেড়ে সড়কে রাত কাটাচ্ছেন ঢাকা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা (ভিডিও) ◈ বকশিবাজারে আলিয়া মাদরাসায় ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী (ভিডিও) ◈ ভারত আইনগতভাবে হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে বাধ্য: নিরাপত্তা বিশ্লেষক মুনিরুজ্জামান ◈ ভূমিকম্পে মৃত্যু: ছেলেকে হারিয়ে নিজেকেই দায়ী করছেন মা নিপা ◈ মুশফিককে কেন রেকর্ড গড়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি, ব্যাখ্যা দিলেন আশরাফুল

প্রকাশিত : ১৮ জুলাই, ২০২১, ০৭:৪৪ বিকাল
আপডেট : ১৮ জুলাই, ২০২১, ০৭:৪৪ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] স্ত্রীর মুখে কাপড় গুজে নৃশংসভাবে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার

সুজন কৈরী: [২] যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর মুখে কাপড় গুজে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন স্বামী। ঘটনার চার দিন পর অভিযুক্ত সাগর হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

[৩] সিআইডি বলছে, নাটোরের গুরুদাসপুরের মতিবাড়ি এলাকায় যৌতুক লোভী স্বামী স্ত্রী সুবর্ণা খাতুনকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। শনিবার রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মিয়ার বাজার থেকে ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

[৪] রোববার দুপুরে মালিবাগে সিআইডি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, গত ১৩ জুলাই গুরুদাসপুরের বিয়াঘাট ইউনিয়নে স্ত্রীকে হত্যা করেন স্বামী। এরপর থেকে অভিযুক্ত সাগর পলাতক ছিলেন। তিন বছর আগে সাগরের সঙ্গে ভিকটিমের বিয়ে হয়। যৌতুকের জন্য বিয়ের পর থেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো। ঘটনার দিন রাতে ভিকটিমের মুখে কাপড় গুজে লাঠি দিয়ে নৃশংসভাবে মারধর করেন। এক পর্যায়ে ভিকটিমের মৃত্যু হয়। পরে ভিকটিম গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে চালিয়ে দেওয়া হয়।

[৫] পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, এই ঘটনায় ১৫ জুলাই সুবর্ণার বাবা হাফিজুল সরদার বাদি হয়ে গুরুদাসপুর থানায় সাগর হোসেন এবং তার মা সাবিনা বেগমকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এরপর ঘটনাস্থল থেকেই ১৫ জুলাই সাবিনা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু অবস্থা ভালো না দেখে গ্রেপ্তারের আশঙ্কায় পালিয়ে যান সাগর। এরপর বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আত্মগোপনে থাকা আসামির সম্ভাব্য সব স্থানে অভিযান চালানো হয়। সিআইডির একটি চৌকস দল নৃশংস ও চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাগরকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর সাগর প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়