সোহাগ হাসান: [২] সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের পাঁচিল শরিফমোড় গ্রামের আবারো নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গনে আশপাশে থাকা মসজিদসহ ২০টি বাড়িঘর যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
[৩] প্রায় মাস খানেক আগে ভাঙন রোধে এ গ্রামে বালুভর্তি জিওটেক্স বস্তার ডাম্পিং করা হয়।ভিটে মাটি হারিয়ে পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়েছে পরেছে।
[৪] স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ বুধবার ভাঙন শুরু হওয়ায় মানুষজন তাদের বাড়িঘর, আসবাবপত্র সরিয়ে নেওয়ারও সময় পায়নি। চোখের সামনে সবকিছু যমুনা নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ায় তারা এখন খোলা আকাশের নিচে অথবা পলিথিন টাঙিয়ে বাস করছেন।
[৫] তাদের অনেকের ঘরে খাবার নেই। গত ২৪ ঘণ্টায় অনেকের ঘরে চুলা জ্বলেনি। অনাহারে-অর্ধাহারে থেকে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।পাঁচিল শরিফমোড় গ্রামের কহিনুর বেগম, মঞ্জু আরা খাতুন, হাসনা বেগম, আব্দুস সাত্তার, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহিম, সাহেদ আলীসহ অনেকে বলেন, এ গ্রামের ভাঙন রোধে এক মাস আগে বালুভর্তি জিওটেক্স বস্তা ডাম্পিং করা হয়। ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে শান্তি ফিরে আসে।
[৬] গত ২দিন আগেও নতুন করে কিছু বস্তা এখানে ডাম্পিং করা হয়। তারপরেও হঠাৎ করে বুধবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়ে ১০০ মিটার এলাকা ধসে যায়। সেই সাথে ১টি মসজিদ ও ২০টি বাড়িঘর যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।বাড়িঘর হারিয়ে মানুষজন এখন কোথায় যাবে, কি খাবে তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছে। অনেকে খোলা আকাশের নিচে পলিথিন টাঙিয়ে বাস করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ তাদের খোঁজখবর নেয়নি। ফলে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে।
[৭] এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. শামসুজ্জোহা বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা দানের জন্য কৈজুরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।শুক্রবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ভাঙনরোধে বালুভর্তি জিওটেক্স বস্তা ডাম্পিং কাজ অব্যাহত রয়েছে । আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে এ ভাঙন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।