শিরোনাম
◈ ভিত্তিহীন ও এআই-জেনারেটেড তথ্য নিয়ে বক্তব্য দেওয়ায় দুঃখ প্রকাশ রিজভীর ◈ রোকেয়া পদকজয়ীদের সংবর্ধনায় প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস, ওসমান হাদির ওপর হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ পদকপ্রাপকদের ◈ আফগানিস্তানকে হারিয়ে যুব এশিয়া কাপে বাংলা‌দে‌শের সুন্দর সূচনা ◈ আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে: তারেক রহমান ◈ ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় সন্দেহভাজন কে এই ফয়সাল? ◈ ওসমান হাদির হামলা নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের নামে 'ভুয়া ফটোকার্ড' ছড়ানোর বিষয়ে সতর্কতা ◈ 'ফিরে এসো প্রিয় ওসমান হাদি': আসিফ আকবর ◈ ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: ভোটের আট ভাগের এক ভাগ না পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত, ইসির পরিপত্র জারি ◈ ওসমান হা‌দির চিকিৎসায় মে‌ডিকেল বোর্ড গঠন, সর্বশেষ যা জানা গেল ◈ তারেক রহমানের দেশে ফেরা ও নিরাপত্তা নিয়ে যা জানালেন সালাহউদ্দিন আহমদ

প্রকাশিত : ১৫ জুলাই, ২০২১, ০২:৩৮ দুপুর
আপডেট : ১৫ জুলাই, ২০২১, ০২:৩৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফাহমিদা সাহেদ: নিজ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে উপস্থাপনের জন্য বাঁধনকে সাধুবাদ

ফাহমিদা সাহেদ: বর্তমানে দেশজুড়ে ইতিবাচক আলোচনাগুলোর কেন্দ্রে রয়েছে কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত ‘রেহানা মারিয়াম নূর’ ছায়াছবি এবং এ ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয়কারী আজমেরী হক বাঁধন।

প্রথমবারের মতো কানের অফিশিয়াল সিলেকশনে আঁ সার্তেঁ রিগায় সিনেমাটি দেখানো হয়। ওই দিন বাঁধন পরেছিলেন বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জামদানি শাড়ি।

যেহেতু জামদানি নিয়ে কাজ করছি তাই আমার যত আগ্রহ তার পরিহিত জামদানি শাড়িটি নিয়েই। চলুন আপনাদের সাথেও শেয়ার করি শাড়িটির খুঁটিনাটি বিস্তারিত নিয়ে।

শাড়িটি হাফসিল্ক জামদানি। অর্থাৎ, এ শাড়ি তৈরি হয়েছে সিল্ক ও সুতি সুতায়। শাড়ির টানায় দেওয়া হয়েছে সিল্কের সুতা আর বানায় দেওয়া হয়েছে ১০০ কাউন্ডের সুতি সুতা। নিখুঁত এ বয়ন আমাদের দেশের জামদানি বয়নশিল্পীদের পক্ষেই করার সম্ভব।

এই শাড়ির জমিন, পাড় ও আঁচলে রয়েছে নানা ধরনের মোটিফ, যেগুলো সোনালি জরির সুতায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এ শাড়ির পাড় হলো শাল ও ইঞ্চি পাড়। সেখানে রয়েছে রাখনলী ফুলের মোটিফ। আঁচলজুড়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সুরমাদানি গাছ মোটিফ। এ মোটিফ আবার নানা নামে পরিচিত। কেউ বলেন বাঘের পাড়া আবার কেউ বলেন ইয়ারিং ফুল। এ ধরনের শাড়ি বুনতে টানায় অন্তত ২২০০ থেকে ২৪০০ বা তার বেশি সুতা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে এই শাড়িতে ধারণা করা যায় অন্তত ২৪০০ সুতা ব্যবহার করা হয়েছে। এটাকেই বয়নশিল্পীরা তাঁদের ভাষায় ২৪০০ সানা বলে থাকেন।

হালকা জলপাই রঙের এই হাফসিল্ক জামদানি শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে তৈরি করা হয়েছে ব্লাউজ। শাড়িটি তৈরি করতে বয়নশিল্পীরা সময় নিয়েছেন তিন মাস। তবে তাদের ভাষ্যমতে খুবই অল্প সময়ে তারা শাড়ি ও ব্লাউজটা বানিয়ে দিয়েছেন। দিনরাত কারিগরেরা কাজ করেছেন। এই শাড়ি আর ব্লাউজ বানাতে যে সময় লাগার কথা তার পাঁচ ভাগের এক ভাগ সময় নিয়েছেন তারা। বোঝেন তাহলে আমাদের একেকটা জামদানী শাড়ি কতটা শ্রম আর সময় নিয়ে তৈরি করে আমাদের জামদানি কারিগরেরা।

বাংলাদেশি সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যকে কানের লালগালিচায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বাঁধন বেছে নিয়েছেন আমাদের ঐতিহ্যবাহী জামদানি শাড়িকেই। তার এই সিদ্ধান্তকে মন থেকে সাধুবাদ জানাই।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়