রিয়াজুর রহমান রিয়াজ: [২] চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, মহামারী করোনার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সরকার সমর্থিত কিছু স্বাস্থ্য ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রামের ফুসফুস খ্যাত সি,আর,বি এর প্রাকৃতিক পরিবেশকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
[৩] চট্টগ্রামের সর্বমহলের দাবি ছিল বিদ্যমান রেলওয়ে বক্ষব্যাধি হাসপাতালকে আধুনিকায়ন করা এবং চট্টগ্রামে সরকারি উদ্যোগে নতুন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা। অথচ সরকার সেই উদ্যোগ গ্রহণ না করে রেলের বিদ্যমান হাসপাতালটিকে বেসরকারি হাসপাতালের হাতে নামে মাত্র মূল্যে ছেড়ে দিয়ে জনগণের স্বাস্থ্য খাতকে আরো সংকুচিত করার পথেই হাঁটছে। তথাকথিত উন্নয়ন প্রকল্প ও বাণিজ্যিক প্রকল্পের গ্রাসে ইতিমধ্যেই চট্টগ্রাম শহরে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত স্থান,পার্ক, খেলার মাঠ ধ্বংস করা হয়েছে।
[৪] তিনি বুধবার (১৪ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামের ফুসফুস খ্যাত সিআরবি এলাকায় বৃক্ষরোপণ কালে এ কথা বলেন।
[৫] ডা.শাহাদাত বলেন, যান্ত্রিক ও কোলাহল পূর্ণ এই শহরের মানুষের প্রাকৃতিক পরিবেশে নিশ্বাস ফেলার মতো জায়গার খুব অভাব । শতবর্ষী বৃক্ষ ঘেরা পাহাড়,টিলা ও উপত্যকা ঘেরা সিআরবি এই এলাকাটি। তাই জনসাধারনের অন্যতম প্রধান বিনোদন কেন্দ্র। গত কয়েক বছর ধরে পহেলা বৈশাখ ছাড়ও নানা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের আয়োজন হয় সিআরবির এই শিরীষ তলায়। এই ছায়াঘেরা পরিবেশ প্রতিদিন সকালে ও বিকলে নগরের ভ্রমণপ্রিয় মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার জন্য ছুটে আসে। তাই এলাকাটিকে নগরীর ফুসফুস বলা হয়ে থাকে। এই শহরের নাগরিকদের নির্মল বাতাসে শ্বাস নেওয়া, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, সুস্থ বিনোদনের জন্য অবশিষ্ট সি.আর.বি এলাকায়ও আজ মুনাফার লালশায় ধ্বংস করার পাঁয়তারা চলছে।
[৬] অনতিবিলম্বে সরকারের এই পরিবেশ বিধ্বংসী সিদ্ধান্ত বাতিল করে হাসপাতালটি সি.আর.বি থেকে সরিয়ে কুমিরায় বক্ষব্যাধি হাসপাতালে স্থানান্তর করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
[৭] এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম, এ আজিজ, সদস্য কামরুল ইসলাম, চকবাজার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, সাবেক ছাত্র নেতা জসিম উদ্দিন চৌধুরী, নগর যুবদল নেতা আসাদুর রহমান টিপু, মোঃ মামুন, নগর ছাত্রদল নেতা সৌরভ প্রিয় পাল, কুতুব উদ্দিন কুতুব, মো:টিপু, তাসকিন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
আপনার মতামত লিখুন :