সোহেল রানা ডালিম: [২] চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মাখালডাঙ্গা গ্রামের আলোচিত সুমাইয়া আত্মহত্যা মামলার প্রধান আসামী লোকমানকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানার পুলিশ। লোকমানকে আটকের মধ্যেদিয়ে এই মামলার মোট দু’জন আসাীকেই গ্রেপ্তার করতে স্বক্ষম হয়েছে সদর থানার পুলিশ।
বুধবার (১৪-জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে চুয়ডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার সদাবরী গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[৩] গ্রেপ্তারকৃত আসামী লোকমান হোসেন ওরফে রুখমান (৩৫) কুষ্টিয়া ইবি থানার নওদাপাড়া গ্রামের মৃত জামাল হোসেনের ছেলে।
[৪] পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুমাইয়া’র মৃত্যু হওয়ার পর থেকেই পলাতক ছিলো শান্তি ও লোকমান। পরে পুলিশের বিভিন্ন তথ্য উপাত্য বিশ্লেষণসহ আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে লোকমানের অবস্থান নির্ণয় করে অভিযানে নামে সদর থানার পুলিশ। এ সকল তথ্যের ভিত্তিতে সদর থানা পুলিশের (ওসি) অপারেশন ইকরামুল হোসেনের নেতৃত্বে
[৫] উপ পরিদর্শক (এসআই) হাসানুজ্জামানসহ সঙ্গীয় ফোর্স দর্শনা থানা এলাকার সদাবরী গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন। এর আগে গত ৭ জুলাই রাতে এই মামলার অপর আসামী আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর গ্রামের মৃত ইয়াজ উদ্দীনের ছেলে শান্তিকে টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর থানাধীন অর্জুনা গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে আদালোতে সোপর্দ করা হয়।
[৬] প্রসঙ্গত, গত ৪-জুন সন্ধ্যার পর মাখালডাঙ্গা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের বাড়ির পাশে সাধুসঙ্গ ফকির গান হচ্ছিলো। গানের এক ফাঁকে লোকমান ও শন্তি তাদের বন্ধু সিদ্দিকুরের নাবালিকা মেয়ে সুমাইয়ার উপর যৌন নির্যাতন চালায়। লোকলজ্জার ভয়ে নিজ বসত ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় মেয়েটি। পরে স্থানীয়রা টের পেয়ে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। এ ঘটনায় নিহত সুমায়ার পিতা বাদী হয়ে লোকমান ও শান্তির নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা দায়ের করলে অভিযুক্তদের আটক করতে মাঠে নামে পুলিশ। পরে পর্যায়ক্রমে অভিযুক্ত দু’জনকেই আটক করে পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :