সাগর আকন: [২] করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ৫০ শয্যার করোনা ইউনিট চালু করে হাসপাতাল কতৃপক্ষ।বরগুনায় প্রতিদিন করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় করোনা ইউনিটে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। শয্যা সংকটের কারণে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালেনর মেঝেতে চিকিৎসা সেবা চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।পযাপ্ত জনবল না থাকায় চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
[৩] বরগুনা ৫০ শয্যা করোনা ইউনিটে সূত্রে জানা গেছে, করোনা ইউনিটে বর্তমানে ৬০ জন রোগী ভর্তি রয়েছে।এর মধ্যে ৫৮ জনের করোনা পজিটিভ এবং ২ জন উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হাসপাতালে শয্যা সংকট থাকায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালের মেঝেতে বিছানা করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। করোনা রোগীদের জন্য জেলার কোনো হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা নেই।
[৪] হাসপাতালে ১১ টি হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা আছে। এই হাসপাতালের জটিল রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতারে কিংবা ঢাকায় পাঠানো হয়।করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৩ জন চিকিৎসক ও ৮ জন নার্স দিন–রাত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। একজন চিকিৎসকে প্রতিদিন করোনা ইউনিটে ১৮ ঘন্টা চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।প্রতিদিন গড়ে ৮০ জনের মত করোনা আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে থাকে এই ইউনিটের চিকিৎসকরা।
[৫] করোনা ইউনিটের চিকিৎসক জানায়, এর মধ্যে ৬০ জন কে করোনা ইউনিটে ভর্তি রাখা হয়েছে এবং ২০ জনকে বাড়িতে আইসোলেশন চিকিৎসা দেয়া এসব রোগী ফলোআপে রাখি, তাদের স্বজনদের সাথে আমাদের মুঠোফোনে চিকিৎসার পরামর্শ দেয়া হয়। এই হাসপাতালে গতকাল পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী মারা গেছে।
[৬] জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ সুত্রে জানা গেছে ১২ লাখ জনসংখ্যার এই জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসারর জন্য ৮৯ টি শয্যা রয়েছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ১ জুলাই থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত বরগুনা জেলায় ৫৫৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলায় ২৩৯ জন। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে শয্যাসংকট থাকায় করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মেঝেতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
[৭] করোনা ইউনিটের প্রধান ডা.ইমরান আহমেদ বলেন, করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে এই হাসপাতালে শয্যাসংকট দেখা দিয়েছে। রোগীদের হাসপাতালের মেঝেতে শয্যা করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। জনবল সংকট থাকায় সেবা প্রত্যাশী রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এখানে একজন চিকিৎসক ১৮ ঘন্টা চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকে। এতে হাপিয়ে উঠতে হয়। ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা না থাকায় করোনায় আক্রান্ত জটিল রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে সেখানোও এখন আইসিইউ শয্যা খালি নাই।
[৮] বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডা.সোহারফ হোসেন জানান শয্যা তৈরির সরঞ্জাম এসে গেছে। আমাদের জনবল সংকট থাকায় শয্যা প্রস্তুত করতে একটু দেরি হচ্ছে। দু-এক দিনের মধ্যে শয্যা সংকট দুর হবে।সিভিল সার্জন ডা.মারিয়া হাসান বলেন, বরগুনা জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য ৮৯ টি শয্যা রয়েছে, যা জনসংখ্যার তুলনায় খুব অপ্রতুল।
[৯] জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো: হাবিবুর রহমান বলেন, করোনা রোগীর সংখ্যার বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে শয্যাসংকট দেখা দিয়েছে।আমি করোনা ইউনিট পরির্দশন করেছি।শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণলায়ে চাহিদাপত্র দিয়েছি।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন
আপনার মতামত লিখুন :