প্রবীর বিকাশ সরকার: ফুলেল অভিনন্দন জানাই স্বনামধন্য জাতিসত্তার কবি, ঔপন্যাসিক, কথাসাহিত্যিক এবং অনুবাদক সুবক্তা মুহম্মদ নূরুল হুদাকে। তিন বছরের জন্য বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক নিযুক্ত হয়েছেন সরকার কর্তৃক। এটা অত্যন্ত আনন্দদায়ক সংবাদ দেশের হযবরল এই অবস্থায়। তিনি সুযোগ্য একজন মানুষ এই পদের জন্য তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ভুগবেন এতেও সন্দেহ নেই। কিন্তু হুদাভাই ভালো কূটনীতিক। আশা করি বাধা-বিপত্তি উঠলেও সফলকাম হবেন।
আমার খুবই ভালো লাগছে এবং আশাবাদী হচ্ছি যে, বাংলা একাডেমীতে ভালো কাজ হবে, একটা সাড়া পড়বে। নিশ্চয়ই হুদা ভাইয়ের নিজস্ব কিছু পরিকল্পনা রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়িত হবে আশা করি। অনতিদূর অতীতের একজন মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান জাপানে এসেছিলেন সম্ভবত ২০০৯ বা ২০১০ সালে। তাকে আমি সারাদিন সময় দিয়েছিলাম একদিন ছুটি নিয়ে কোম্পানি থেকে। সেইসময় তার কাছে কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছিলাম বাংলা একাডেমির ভবিষ্যৎ এবং সমৃদ্ধির ব্যাপারে। তিনি রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু দেশে ফিরে যাওয়ার পর আর যোগাযোগ করেননি, সৌজন্যবশত একটি টেলিফোন কল বা মেইলও না। কমন সেন্সের অভাব ছিলো তার, ছিলো মারাত্মক খাই খাই স্বভাব। সেই প্রস্তাবগুলো হুদাভাইকে দেব কিনা ভাবছি।
আপাতত হুদাভাইয়ের নতুন দায়িত্বের কিছুদিন দেখার প্রয়োজন রয়েছে। তারপর প্রস্তাবগুলো তাকে দেবার ইচ্ছে। বাঙালি সাধারণত এখন আর দেশ নিয়ে, জাতীয় প্রতিষ্ঠান নিয়ে ভাবে না। সবাই দৌঁড়ের ওপর আছে। কিন্তু কিছু মানুষ থাকেনই যারা নিঃস্বার্থভাবে দেশ, মানুষ এবং জাতীয় প্রতিষ্ঠানসমূহকে নিয়ে ভাবেন, ভাবতে হয়- মুহম্মদ নূরুল হুদা তেমনি একজন মানুষ এবং বাঙালি। অনেক বছর ধরে তাকে দেখে আসছি, একাধিকবার সাক্ষাৎ হয়েছে। তাতে করে তার প্রতি আমার অগাধ প্রতীতি জন্মেছে। আমাকে যৎসামান্য চেনেন, জানেন এবং বোঝেন তিনি। তার সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
লেখক : রবীন্দ্রগবেষক
আপনার মতামত লিখুন :