সোহেল মিয়া: [২] রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়ন এলাকায় হঠাৎ করে ভাঙন শুরু হয়েছে। আতংকে রয়েছে আরো অর্ধশত পরিবার। যে কোন সময় নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে এ সকল পরিবারগুলো।
[৩] মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মজিদ শেখের পাড়ায় এ ভাঙন শুরু হয়ে। দুই ঘন্টার ভাঙনে পদ্মা নদীতে বিলীন হয়েছে ১৫০ মিটার এলাকায় ১৬ টি বসতবাড়ী।
[৪] স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বিআইডব্লিউটিএ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের অব্যবস্থাপনার কারণে ১০ মিনিটের ভাঙনে ১৬ টি বাড়ী পদ্মায় বিলীন হয়েছে। পদ্মা পারের আরও শত শত স্থাপনা হুমকির মধ্যে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড শুধুই আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন। কাজের কাজ তারা কিছুই করছেনা। আমাদের রক্ষার জন্য কারো কোন মাথা নেই।
[৫] পদ্মায় নদীগর্ভে ক্ষতিগ্রস্ত বিলাস ব্যাপারী বলেন, আমরা ভাঙনের মধ্যেই ছিলাম। আশা ছিলো পানি উন্নয়ন বোর্ড কিম্বা বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ জিও ব্যাগ ফেলবে। তারা বড় বড় বস্তা ফেলেছিলো, কিন্তু কোন কাজে আসেনি। সকাল থেকেই নদীর পানি পাক খাচ্ছিলো। নদীর অবস্থা ভালো মনে হচ্ছিলো না। ভেবেছিলাম বিকালে বাড়ীঘর সরিয়ে নিয়ে যাবো। কিন্তু পারি নাই। আমার সবকিছু নদীতে চলে গিয়েছে। চোখের সামনেই দেখলাম নদী গ্রাস করলো মাথা গোঁজার শেষ আশ্রয় টুকু। আমাদের এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
[৬] দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. আশরাফুল ইসলা বলেন, আজ সকালে হঠাৎ করে ১৬ টি বাড়ী পদ্মায় বিলীন হয়েছে। যা খুবই কষ্টকর। এরই মধ্যে ভাঙন পারের ৪০টি মতো বাড়ী ভেঙ্গে অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। লঞ্চঘাট হুমকির মধ্যে রয়েছে। যেকোন সময় লঞ্চঘাট ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক মামুন বলেন, হঠাৎ করে পদ্মায় নদীর লঞ্চঘাট এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। ভাঙনে বেশ কয়েকটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্থদের জরুরী ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে। এছাড়া ঘর নির্মানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।